বক্সনগরের শাসক দলের রানা দেব তার আইটি সেল এর সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক,বক্সনগর প্রতিনিধি : ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বর্তমানে বক্সনগরে শাসকদলের আইটি সেল এর মোট ছয় সদস্যের কমিটি রয়েছে। সেই ছয় জনের কমিটির মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন রানা দেব। যিনি ছিলেন রাজ্যের বিগত বাম সরকারের আমলে বক্সনগর এলাকার বিরোধী দলের মধ্যে অন্যতম তারকা ব্যক্তিত্ব। কিন্তু বিগত 2018 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে বর্তমান বিজেপি দলের নেতৃত্বরা রানা দেবকে উপযুক্ত মর্যাদা দেয় নি বলে তিনি এক প্রকার অভিযোগ আকারে জানান। তবে শাসক দলের আইটি সেল থেকে পদত্যাগের বিষয়ে রানা বাবু জানান, তিনি জন্মগত সূত্রেই কংগ্রেস পরিবারের সন্তান। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের বাম সরকার উৎখাত করার লক্ষ্যে 2016 সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি দলে যোগ দিয়ে ছিলেন এবং তার সাথে বক্সনগর এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে শত শত কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক বিজেপি পতাকা তলে সামিল হয়েছিলেন। ফলে 2016 সালে তিনি বিজেপি পতাকা হাতে নিয়ে, দলের সেই দুঃসময়ের দিনে বিজেপি বক্সনগর মন্ডল মহিলা মোর্চার প্রভারী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন এবং বক্সনগর বিজেপি মন্ডলের অন্যতম একজন সদস্য হিসেবে তিনি ছিলেন। তিনি জানান, তৎকালীন সময়ে বামেদের প্রবল রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে বিজেপি দলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে কাজ করার মতো তেমন কোনো কর্মী বা নেতৃত্ব ছিল না। হাতে গোনা মাত্র কয়েকজনকে নিয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং সততার সহিত দলের বৃহত্তর অংশের কাজ তিনি সামলেছেন। এমনকি রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পূর্বে দলের পৃষ্ঠা প্রমুখের দায়িত্বও তিনি সামলে ছিলেন। পরবর্তীতে 2018 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ছয় মাসের মাথায় বর্তমান সুবিধা ভোগী পন্থীরা মন্ডলের সদস্য পদ থেকে রানা দেবকে বিতাড়িত করে এবং মহিলা মোর্চার প্রভারীর পদ থেকেও অপসারিত করা হয়। তবে আজকের দিনে দল সরকারের ক্ষমতায় আসার পেছনে তার অবদান কোনো অংশে কম ছিলনা বলে তিনি জানান। এদিনে রানা বাবু কিছুটা ক্ষোভের সাথে বলেন, তাকে বর্তমানে এক প্রকার হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নিজের ছেলে বয়সী কিছু ন্যাংটো ছেলেদের সাথে দলীয় কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেই ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হন। তার বক্তব্য, হয়তো রাজ্য রাজনীতির অন্যতম কান্ডারী সুদীপ রায় বর্মনদের আদর্শের মতে ও পথে অনুসারী হয়ে চলার কারনে তাকে দল বর্তমানে প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি। যার ফলে বক্সনগর দলের মন্ডল সভাপতি সুভাষ সাহা হয়তো কারোর অঙ্গুলি ঈশারায় রানা দেবের মতো একজন প্রখর রাজনীতি বিদ কে দল থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছেন। আর দলের নেতৃত্বদের এমন মনোভাবের ফলে রানা দেব অনেকটাই ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়ে নিজের পদ থেকে সরে এসেছেন।