চাইল্ড লাইনের সহায়তায় ২৬ দিন পরে নাবালিকা মেয়ে উদ্ধার।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক,বক্সনাগর প্রতিনিধী : চাইল্ড লাইনের সহায়তায় ২৬ দিন পর নাবালক নাবালিকা ছেলে মেয়ে দুইজকে উদ্ধার করল। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত 4ঠা ডিসেম্বর কলমচৌরা থানাধীন বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব পাড়া এলাকার মোবারক হোসেনের ১৪ বছরের এক নাবালিকা মেয়ে পুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডের ফুল মিয়ার ছেলে মোঃ সাগর মিয়া(১৬) নাবালিকা মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় , মেয়েটির পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও কাজের কাজ হয়নি। অবশেষে ২৬ দিন পর সিপাহীজলা চাইল্ড লাইনের একটি প্রতিনিধি দল কলমচৌরা থানার পুলিশকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া নাবালিকার মাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায় পুটিয়া ফুল মিয়ার বাড়িতে। নাবালক সাগর মিয়ার পিতার সাথে আলাপ-আলোচনা করে মেয়েটিকে কলমচৌড়া থানায় প্রথমে নিয়ে আসে, পরে মেয়েটির থেকে একটি লিখিত ও পরিবার থেকে একটি লিখিত দরখাস্ত নিয়ে থানা থেকে মেয়েটিকে তার পিতা মাতার কাছে তুলে দেওয়া হয়।, জানা গেছে সাম্প্রতিক গত ১৯ নভেম্বর এই নাবালক -নাবালিকা যুগল বাড়ি থেকে চেন্নাইয়ে পালিয়ে যায়। নাবালক নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা পুরো বক্সনগর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নাবালিকা মেয়েটির মা পরে কলমচৌড়া থানার দ্বারস্থ হয়।পুলিশ তাদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানতে পারে দুজন চেন্নাইয়ে রয়েছে। তখন চাইল্ড লাইনের একটি প্রতিনিধিদল চেন্নাইয়ে ছুটে যায়।চেন্নাই থেকে নাবালক নাবালিকা কে উদ্ধার করে যার যার পরিবারের হাতে তুলে দেয় চাইল্ড এর প্রতিনিধি দলটি। তার কিছুদিন পর পুনরায় মেয়েটি ছেলেটির হাত ধরে নাবালক সাগর মিয়ার বাড়িতে চলে যায়।এদিকে ছেলেটির বাবা শাসক দলের একজন নেতা হওয়ায় মেয়েটিকে বাহুবলী দেখিয়ে 26 দিন তার বাড়িতে রেখে দেয়। এদিকে নাবালক নাবালিকা দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক। কারোরই এখনো 18 বছর পূর্ণ হয়নি। প্রশাসনও তাদের এই ভালোবাসার বিয়ে মেনে নিতে নারাজ।কিন্তু এইসব ঘটনা আজ বক্সনগর এর নতুন নয়, কিছুদিন পূর্বে বক্সনগর পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকেও অষ্টম শ্রেণীর একটি নাবালিকা মেয়ের বিয়ে হয় মোবাইল ফোনে স্বামী বিদেশে থাকে ।এমন ঘটনা বক্সনগর এ প্রায় সময়ই হয়ে থাকে।তাই সংসারে থাকে রীতিমতো মল্লযুদ্ধ। এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ বক্সনগর এ বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়। একদিকে শিক্ষিত মহল থেকে একটি আওয়াজ ওঠে পুলিশ কি তাহলে শীতঘুমে রয়েছেন। না হলে কিছুদিন পর পর কেন? এভাবে নাবালিকা মেয়েকে অপ্রাপ্তবয়স্কের বিয়ে দিতে হয় পরিবারের লোকজন। এদিনের নাবালিকা উদ্ধার অভিযানে ছিলেন সিপাহী জলা জেলার চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর মিঠুন দত্ত, কাউন্সিলর তানিয়া সাহা, তাছাড়া ছিলেন আফসানা আক্তার ও গৌতম সরকার। চাইল্ড এর প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামী দিনে বক্সনগর এ কোন নাবালক নাবালিকা এভাবে অল্প বয়সে বিয়ে দিতে পারবেনা । এই বিষয়ে জানতে পারলে তারা অবশ্যই এই বিয়ে বন্ধ করতে তৎপর থাকবেন।, এখন দেখার বিষয় পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিরা এই বাল্যবিবাহ কিভাবে বন্ধ করে। এক কথায় বক্সনগর চলছে রমরমা বাল্যবিবাহ।