ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মেগা ক্রেডিট ডেলিভারি ক্যাম্প অনুষ্ঠানে বিপ্লব কুমার দেব।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক,ত্রিপুরা : ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মেগা ক্রেডিট ডেলিভারি ক্যাম্প অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন যে, ত্রিপুরাকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ভাল প্রয়াস নিচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এই ব্যাঙ্কের কাজকর্ম ভাল জায়গায় রয়েছে। এটা রাজ্যের অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক দিক।পরিকল্পনা করতে হবে, আরও বেশি কী ভাবে লোন দেওয়া যায়। এবং সেই লোন ফেরতের বিষয়েও পরিকল্পনা করতে হবে। কারণ যত বেশি লোন প্রদান করা হবে অর্থনীতি তত বেশি সুসংহত হবে। যে টাকা জমা পড়ছে তার ৫০ শতাংশ যাতে লোন প্রদান করা যায় তার উদ্যোগ নিতে হবে।ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের এনপিএ রেট ৮.৪৫ শতাংশ। সেটাকে কী ভাবে কমিয়ে আনা যায় তারও পরিকল্পনা করতে হবে। কেন এই রেট বেশি তা আমি জানি। আগে ব্যবসায়ী না হলেও তাঁকে উপরতলার চাপে লোন দিতে হত। এই সরকার তা করবে না। বর্গাদারদের জন্য নাবার্ডের সঙ্গে যৌথ ভাবে কেসিসি লোনেও ত্রিপুরা উল্লেখযোগ্য জায়গায় রয়েছে। কারণ এই সরকার আসল কৃষককে চিহ্নিত করতে পেরেছে। কী ভাবে আরও বেশি মানুষকে লোন দেওয়া যায় তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন। তালিকা করে সেই কাজ করতে হবে। অন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। এখন এমএসএমই সেক্টরের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হচ্ছে। তারাও লোন নিয়ে তাদের উৎপাদন করছে। হাজার হাজার কর্মসংস্থান হচ্ছে।আগে সরকারি চাকরি ছাড়া অন্য কোনও পেশার কথা ভাবতই না ত্রিপুরার তরুণ প্রজন্ম। আজকে মানসিকতা বদলাচ্ছে। আত্মনির্ভর হওয়ার পথে হাঁটছেন।যুবক-যুবতীরা। আজকে ত্রিপুরার বাঁশের বোতলের চাহিদা সারা দুনিয়া জুড়ে রয়েছে। কম পুঁজিতে এই পণ্য উৎপাদন করা যায়। অনেকেই সেই কাজ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মন কি বাতের মাধ্যমে বাঁশের বোতলের মার্কেটিং করেছেন। যা ত্রিপুরার কাছে গর্বের।