বনদপ্তর কর্মীদের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ইকো পার্ক বর্তমানে শুকর প্রতিপালনের বিচরন ভূমি।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক,তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি: দেড়দ্রুন টিলা ভূমি নিয়ে বিগত ২০০৩ সালে ইকো পার্ক তৈরি করা হয়েছিলো। তৎকালীন বাম সরকারের লক্ষ্য ছিল জঙ্গলকে মঙ্গল করে, বিনোদনের জন্য পার্ক বানানো হয়েছিল আমজনতার বিনোদনের জন্য। বনদপ্তর কর্মীদের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে শুকর প্রতিপালনের বিচরন ভূমিতে পরিণত হয়েছে। গোটা পার্ক জুড়ে দুর্গন্ধে ম ম করছে। বনভোজন পিপাসুরা এই পার্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলা চলে। ঘটনা মুঙ্গিয়া কামি ফরেস্ট রেঞ্জ এর অধীনে চাকমা ঘাটের খোয়াই ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকার চাকমা ঘাট ইকোপার্ক। এই পার্কটিতে বহু প্রজাতির গাছ-গাছালিও রয়েছে, আছে বিনোদনের জন্য কয়েকখানা দোলনা সহ অন্যান্য সামগ্রী। কিন্তু পার্কের মধ্যে যত্রতত্র স্থানে শুকর প্রতিপালনের ফলে গোটা পার্ক জুড়ে বিষাক্তময় দুর্গন্ধ। পূর্বে এই পার্কে বনভোজন পিপাসুরা আসা যাওয়া করত বনভোজন এবং বিনোদনের জন্য। কিন্তু বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে বনভোজন পিপাসুরা এই পার্কে আর আসে না বলেই চলে। পার্কের দায়িত্বে থাকা এক বনকর্মী জানান, পূর্বে এই পার্কে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন আসতো। কিন্তু বর্তমানে মানুষজন খুব কম আসে এই পার্কে। অপরদিকে চাকমা ঘাট ফরেস্ট বিট অফিসারকে খুঁজ করে ও পাওয়া যায়নি। বিট অফিসে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল অফিসের দরজায় তালা ঝুলছে। অন্য এক ফরেস্ট অফিসারকে চাকমা ঘাট ইকো পার্কে শুকর প্রতিপালন করার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন এটি মুঙ্গিয়া কামি রেঞ্জ এর অধীনে, তাই তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তবে চাকমা ঘাট ইকো পার্কের আশ পাশের প্রতিবেশীরা এই পার্কটিকে শুকর প্রতিপালনের বিচরণ ভূমিতে পরিণত করল। এ ব্যাপারে তেলিয়ামুড়া ফরেস্ট ডিভিশন কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ উদাসীন।