‘স্বচ্ছ আগরতলা, সুস্থ আগরতলা’- কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক,ত্রিপুরা : আগরতলা টাউন হলে ‘স্বচ্ছ আগরতলা, সুস্থ আগরতলা’ এক কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, ২০১৪ সালে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছ ভারতের স্লোগান উপস্থাপন করলেন দেশের মানুষের সামনে, তখন অনেকেই ব্যাপারটা কী বুঝে উঠতে পারেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দিন দিল্লীতে ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামলেন সেদিন অনেকে সমালোচনা করেছিলেন। বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাজ কি এটা নাকি, তাঁর কাজ তো আইনপ্রণয়ন করা। কিন্তু আজ সবাই বুঝতে পারছেন, কেন সেদিন প্রধানমন্ত্রী সেই কাজ করেছিলেন। আজ স্বচ্ছতার ধারণা সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে বিভিন্ন শব্দ দিয়ে বোঝানো হতো। কিন্তু সেই সমস্ত শব্দ তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ত করে না। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের দিব্যাঙ্গজন আখ্যা দিলেন। অর্থাৎ তুলনা করলেন তৃতীয় নয়নের সঙ্গে। আগে বলা হতো কুমোর, মুচি। এখন বলা হচ্ছে মৃৎশিল্পী, চর্ম শিল্পী। এটাই মানসিকতার তফাৎ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ প্রচলন করেছিলেন। রাজা রামমোমহন রায় সতীদাহ প্রথা রদ করেছিলেন। সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগর, রামমোহন, দয়ানন্দ সরস্বতীদের মতো শ্রী নরেন্দ্র মোদীজিও একটি নাম। কারণ তিন তালাক প্রথার অবলুপ্তি ঘটিয়ে তিনি কোটি কোটি সংখ্যালঘু মা-বোনকে মুক্তি দিয়েছেন। বাড়িতে মা সবার খাওয়া হয়ে গেলে উচ্ছিষ্ট পরিষ্কার করে, থালা-বাসন ধুয়ে রাখেন। মায়ের মধ্যে সেই মমত্ব বোধ রয়েছে। আর সাফাইকর্মীরা সারা সমাজের থালা পরিষ্কার করে সমাজকে স্বচ্ছ রাখেন। এই কোভিড পরিস্থিতি দেখিয়ে দিয়েছে, সমাজে যেমন ডাক্তার, নার্সের প্রয়োজন রয়েছে তেমন সাফাইকর্মীদেরও প্রয়োজন রয়েছে। আজ যদি সাফাইকর্মী না থাকতেন তাহলে করোনাভাইরাস আরও লাখো মানুষের জীবনহানি ঘটাতো। অনুষ্ঠানের শেষে সামনের সারির কোভিড যোদ্ধাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করি। স্বচ্ছ ভারত মিশন জনজাগরণ তৈরি করেছে। আগে অনেকেই রাস্তায় থুথু ফেলতেন। এখন সেসব অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বোধ গড়ে উঠছে। এই কাজ ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যেতে হবে।