ত্রিপুরাকে দ্বিখন্ডিত করে উপজাতিদের জন্য আলাদা রাজ্য গঠন করার দাবি।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক,ত্রিপুরা :- ফের একবার শুরু হলো বন্ধের নাটক। ২০১৮ নির্বাচনের প্রাক্কালে আই.পি.এফ.টি দলের ১১ দিনের জন্য আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক বন্ধের মধ্য দিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে পট পরিবর্তনের শুরু হয়েছিল। তখন ২৫ বছরের সিপিআইএম সরকারের জমানায় অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে বিজেপি – আই.পি.এফ.টি জোট সরকারের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। জোট সরকারের তিন বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও সামনেই রাজ্যের স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের (এডিসি) নির্বাচন। এবার আই.পি.এফ.টি দল চাইছে এডিসি দখল, যার যার ব্যক্তিগত দল হিসাবে শক্তি প্রদর্শন করা। আজ তথা বৃহস্পতিবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আই.পি.এফ.টি দলের পক্ষ থেকে 24 ঘন্টার জন্য এডিসি এলাকা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। সকাল ছয়টা থেকেই এডিসি এর সদর কার্যালয় খুমলুঙ এলাকা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আইপিএফটি নেতৃত্বরা বনধের সমর্থনে পিকেটিং করতে থাকে এবং রাস্তা অবরোধ করে বসে। তাদের অন্যান্য দাবির সাথে মূল দাবি ছিল” ত্রিপুরা ল্যান্ড”অর্থাৎ ত্রিপুরাকে দ্বিখন্ডিত করে উপজাতিদের জন্য আলাদা রাজ্য গঠন করা। যদিও অবাক করার বিষয় হলো বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল যখন তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে মাঠে নামেন তখন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু আজকে যখন আই.পি.এফ.টি -বিজেপি জোট শরিক আই.পি.এফ.টি দল বন্ধের সমর্থনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে করা শুরু করে রাস্তা অবরোধ এবং পিকেটিং করা শুরু করে তখন পুলিশ প্রশাসনের কর্তা বাবুরা নীরব দর্শকের ভূমিকায়। আজ তাদের কাছে নেই জলকামান আর কামান থাকলেও নেই ভেতরে জল। হাতে লাঠি থাকলেও তার সৎ ব্যবহারের আদেশ পাওয়া যাবে কিনা বলাই বাহুল্য। এক কথায় বলতে গেলে আই.পি.এফ.টি এর ২৪ ঘন্টা ত্রিপুরা এডিসি এলাকা বন্ধ সফল। এডিসি এলাকা দিয়ে কোন যান চলাচল করতে দেখা যায়নি , দোকানপাট ও ছিল নিয়মিত বন্ধ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই বন্ধের বিরোধিতা করে কোন রাজনৈতিক দলকে মাঠে নামতে দেখা যায়নি।