ত্রিপুরা বিজেপিতে অশনি সংকেত! বিপ্লব দেবের সুখের ঘরে বিদ্রোহের ইঙ্গিত।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: তবে কি ত্রিপুরায় ভাঙতে চলেছে গেরুয়া সরকার? ক্রমেই পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে ত্রিপুরা বিজেপিতে। মুখ্যমন্ত্রী পদে বিপ্লব দেবকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বিজেপির একাংশ। এর আগে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েন ত্রিপুরা রাজনীতির অন্যতম মুখ সুদীপ রায় বর্মন। নির্বাচনের আগে এই “হেভিওয়েট”নেতার দল বদলানোর ফলে এখানে পদ্ম ফুটতে অনেকটাই সুবিধা হয়। এবার আরও ৭ বিধায়ক কার্যত ” বিদ্রোহ” ঘোষনা করে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করছেন। উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে পদ্মশিবিরের বিদ্রোহ ঘিরে ফের একবার উদ্বেগে গেরুয়া হেডকোয়ার্টার। বহু বিতর্কে থাকা বিপ্লব দেবের মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়েই টানাটানি শুরু হল বিজেপির অন্দরে। ত্রিপুরা বিজেপির অন্দরে ৮ বিধায়ক বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তাঁদের দাবি, দলের মধ্যে কার্যত ‘একনায়কতন্ত্র’ চালাচ্ছেন বিপ্লব দেব। ত্রিপুরার সুশান্ত চৌধুরী, আশিস সাহা, আশিস দাস, দিওয়া চন্দ্র রাংখাল, বুর্ব মোহন ত্রিুপুরা, পরিমাল দেব বর্মা, রামপ্রসাদ পাল, সুদীপ রায় বর্মনরা বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, আরও ২ বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। সূত্রের খবর আজই তারা দিল্লিতে পৌঁছে রাম মাধবজির সঙ্গে দেখা করে অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন। এদিকে, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের সামনে কোনও বড় সংকট রয়েছে কি না , তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই , ত্রিপুরা বিজেপি তা নস্যাৎ করে দিয়েছে। এই রাজ্যে বিজেপির অন্যতম মুখ ত্রিপুরা পশ্চিম এর সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের বক্তব্য,” আমাদের সরকার নিয়ে কোন চিন্তা নেই। কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থে, মন্ত্রী হওয়ার লোভে এগুলো করছে। আসলে রাজ্যে ভাল কাজ হচ্ছে এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। তবে এইসব করে কোনও লাভ নেই। কারো মনবাসনা পুর্ণ হবে না। আর উনাদের কেউ ডেকে পাঠায়নি। নিজেরাই গিয়েছেন।” যদিও সরকার নিরাপদ বলে দাবী সাংসদের। তবে এর পিছনে সেই সুদীপ রায় বর্মনের হাত দেখছেন প্রতিমা ভৌমিক। পাশাপাশি তার দাবী,” ৬-৭ জন বিধায়কের বিদ্রোহে কিছু সমস্যা হবে না ত্রিপুরায়।” তবে কোনওভাবেই যে মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে বিপ্লব দেবকে সরানো হবে না তারও ইঙ্গিত দেন তিনি। প্রতিমা ভৌমিক বলেন, ” আমাদের দলে মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ায় চল নেই।”। এদিকে, আরও এক সূত্রের দাবি, বিপ্লব দেবের প্রতি সুনজর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ফলে বিপ্লব দেবকে সহজে ত্রিপুরার মসনদ থেকে টলানো সম্ভব নয়।