প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক লিই জুন শাওমি সম্পর্কে তিনটি ভুল ধারণা পরিষ্কার করেছেন।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : বৃহত্তম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলেছে চাইনিজ টেক জায়ান্ট শাওমি। শাওমিকে আজ এতো বড় করে তোলার পেছনের অন্যতম কারিগর কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ‘লিই জুন’। শাওমি একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে শাওমি সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন ‘লিই জুন’। তার আলোচনার মূল বিষয় ছিল শাওমিকে নিয়ে মানুষের মাঝে কিছু ভুল ধারণা।
শাওমি সম্পর্কে সর্বপ্রথম ভুল ধারণাটি হচ্ছে, মানুষ মনে করে শাওমি নিতান্তই একটি লো-এন্ড প্রোডাক্ট নির্ভর সস্তা চাইনিজ মোবাইল ব্র্যান্ড। কিন্তু বাস্তবে এমনটা নয়, শাওমি দীর্ঘদিন যাবৎ হাই-এন্ড ও ফ্ল্যাগশিপ ফোন তৈরী করে আসছে। তাছাড়া বাজারে শাওমির প্রিমিয়াম ফোনের চাহিদাও ব্যাপক হরে বাড়ছে। উদাহরণ দিয়ে ‘লিই জুন’ বলেন, ‘আমাদের সর্বশেষ ফ্ল্যাগশিপ Mi 10 Extreme Edition ডিভাইজটি এ বছরে বেস্ট সেলিং প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে একটি। তাছাড়া বর্তমানে ৯৮ ইঞ্চির হাই-এন্ড স্মার্ট টেলিভিশনও বাজারজাত করছে শাওমি।
শাওমি প্রোডাক্ট সম্পর্কে দ্বিতীয় ভুল ধারণাটি হচ্ছে, সকলে মনে করেন শাওমির পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট মেনুফেকচারার এর মাধ্যমে। এ বিষয়টি নিয়ে ‘লিই জুন’ বলেন, ‘এমন ভুল তথ্য বারংবার শুনতে শুনতে আমি হতাশ।’ এ ব্যাপারে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, শাওমির নিজস্ব একটি ফাউন্ড্রি মডেল আছে, যা খুবই উন্নত ও অত্যাধুনিক। শুধু চীনেই বেইজিংয়ের ইজহ্যাংয়ু শহরে অবস্থিত শাওমির কারখানায় প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি আল্ট্রা-হাই-এন্ড স্মার্টফোন উৎপাদন হচ্ছে।’ নিজেদের প্রোডাক্ট লাইনআপ বাড়াতে আগামী তিন বছরের মধ্যে ১১০ কোম্পানির উপর বিনিয়োগের কথাও জানিয়েছে লিই জুন।
লিই জুন বলেন, মানুষ মনে করে শাওমি নিজস্ব কোনো উদ্ভাবনী টেকনোলজি নেই। তিনি সকলকে মনে করিয়ে দিতে চান যে, ক্যামেরার ক্ষেত্রে শাওমির টেকনোলজি সবার চেয়ে উদ্ভাবনী। ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সিঙ্গেল লেভেল ক্যামেরা ডেভেলপমেন্টে শাওমির অবদান সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া চার্জিং প্রযুক্তিতেও অনন্য কিছু ইনোভেশন এনেছিল শাওমি।
পরিশেষে ‘লিই জুন’ আরও বলেন, ‘নিজেদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ইনোভেশন চালিয়ে যেতে এবং শাওমিকে বিশ্বের দরবারে ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে দিন রাত পরিশ্রম করছে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা।