শান্তিপুর বিধানসভায় প্রার্থী হওয়ার আবেদনের সাথেই, ইস্তফা বিজেপি পদে
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক,নদীয়া প্রতিনিধি : ১৯৯০ সালে শান্তিপুর পৌরসভার ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস! দলবদল এর পর ২০১৩ সালে পৌরসভার পরিচালনা রূপান্তরিত তৃণমূলে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন অবশ্য বদলে দিয়েছে সমস্ত ইতিহাস! শান্তিপুর ব্লকের ছটি পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটিতে, এবং শহরে ২৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮ টা তে মিলিয়ে মোট ৩৫ হাজার ভোটে বিজেপি এগিয়ে থাকার ফলে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার সহজেই জয় লাভ করে। এতো গেলো ভোটের কথা! তবে এই বিপুল জয়লাভে বিজেপির পক্ষ থেকে নেতা কর্মীদের খুব বেশি প্রকাশ্যে দেখা যায়নি বুথ স্তরে। কিন্তু জেতার পর থেকে সাংগঠনিকভাবে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে বিজেপি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান সভা-সমিতি গুলি সে প্রমাণ দেয়! তৃণমূল বিধায়ক এবং পৌর প্রশাসকের সমন্বয়ের অভাবে, শহর হোক বা গ্রাম বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগে আগামী বিধানসভায় বিজেপি যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা, চায়ের দোকান থেকে বাজারে সাধারণ মানুষের আলাপচারিতায় কান পাতলেই বোঝা যায়। পুরনো হোক বা নতুন বিজেপি কর্মী! বা আগামীতে যোগ দিতে পারে এমন বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নজর কিন্তু শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হওয়া! তবে আগেভাগেই দল ত্যাগ করলেন ২০১৭ সাল থেকে বিজেপিতে যুক্ত হওয়া, শান্তিপুর হিন্দু হাই স্কুলের শারীর শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক স্বপন দাস। তিনি শান্তিপুর বিধানসভায় বিজেপির কনভেনার পদে আসীন ছিলেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে আবেদন জমা দিয়েছেন জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী কাছে। একই সাথে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা! এ বিষয়ে তিনি জানান, দলের নিয়ম রক্ষার্থে এবং আমার নৈতিকতাই মনে হয়েছে একটি পদে দায়িত্ব পালনের সাথে অন্য আরেকটি পদের আবেদন ঠিক নয়, তাই এই ইস্তফা।