আগামী দিনে আমার রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক করবে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ : শান্তনু ঠাকুর
নিউস বেঙ্গল 365, নিউসডেস্ক: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ক্রমশ দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বিজেপির সঙ্গে। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ইদানিং তাঁকে দেখা যাচ্ছে না সেই ভাবে। অনুপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায়। তাঁকে নিয়ে নিত্যদিন দলে বাড়ছে জল্পনা। সাতদিনের উত্তরবঙ্গ সফর সেরে শুক্রবার রাতে গাইঘাটার ঠাকুরনগরের বাড়িতে ফিরেছেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি ও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বাড়িতে ফিরেই কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সুর চড়ালেন। হাঁটলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উল্টোপথে। সাংসদ জানিয়েছেন, ‘করোনার সঙ্গে সিএএ- র বর্তমানে কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। সিএএ-র সঙ্গে সত্যি করোনার যদি সম্পর্ক থাকতো তাহলে তো আমার মনে হয় বিহারে যে ভোট হয়ে গেলো সেটা করা উচিত হয়নি।’ নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হতে দেরি হলে তাঁর রাজনৌতিক অবস্থান কি হবে জানতে চাওয়া হলে বনগাঁর সাংসদ জানিয়েছেন, ‘কোনও নোংরা রাজনীতির খেলায় আমি বিশ্বাস করি না। সিএএ ইমপ্লিমেন্ট না হলে আমার সংঘ যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেখানেই থাকবো। আগামী দিনে আমার রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক করবে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মানব।’ সাংসদ আরো বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাশ। উনার উচিত মতুয়া সমাজের মানুষের কাছে এসে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে অবস্থান ব্যাখ্যা করা।প্রসঙ্গত গত রবিবার বোলপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত বড় অভিযান করা সম্ভব নয়। কেবল বিধি প্রণয়নই বাকি আছে। করোনাভাইরাসের টিকা এসে গেলে এবং করোনার সাইকেল ভেঙে গেলে এই বিষয় নিয়ে ভাবা হবে’।