অত্যাধিক যৌন চাহিদা না মেটাতে পারায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক তৃণমূল নেতার।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : স্বামীর মাত্রা অতিরিক্ত যৌন চাহিদা। কিন্তু স্ত্রী সেই যৌন মিলনে অস্বীকৃত, আর তাই ‘নিকাহ’ র একমাসের মধ্যেই “অক্ষম” স্ত্রীকে ঘরছাড়াই করে দিল সেই গুনধর স্বামী। তবে তিনি আবার যে সে কেউ নন, রুস্তম আলী আবার স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় একমাস আগে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুরের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে রুস্তম আলি(৩৫)র সঙ্গে সামাজিক প্রথা মেনে বিয়ে হয় বিহারের আজমনগর থানার পাইপগান গ্রামের জহিরুদ্দিনের মেয়ে ইন্নামা খাতুন (১৮)এর। প্রতিদিনই শারীরিকভাবে মিলিত হত তারা। কিন্তু বাধ সাধে মাত্র ১৫ দিনের মাথায়। স্বামীর মাত্রা অতিরিক্ত যৌন চাহিদা মেটাতে অসম্মতি জানায় ইন্নামা খাতুন। যার পরিণতি হিসাবে স্ত্রীকে তালাকই দিল ওই তৃণমূল নেতা। কী বলছেন ভুক্তভোগী? ইন্নামা খাতুনের বক্তব্য , “রুস্তম পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দিয়ে আমাকে বিয়ে করে। কিন্তু দিন পনেরো পরেই আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমাকে এখন আর ঘরে নেবে না বলছে। আমাকে তালাক দিয়েছে।” ইন্নামা খাতুন রুস্তমের দ্বিতীয় স্ত্রী। ১৩ বছর আগে রুস্তম প্রথম বিয়ে করে মালদহের চাঁচল এলাকায় টুইঙ্কেল বিবিকে । এই দম্পত্তির ১০ বছরের একটি মেয়ে ও চার বছরের একটি ছেলে আছে। অভিযোগ, দ্বিতীয় স্ত্রী ইন্নামা খাতুনকে প্রথম বিবাহের কথা তা গোপন করেই ‘নিকাহ’ করে ওই তৃণমূল নেতা । এমনকী এক লক্ষ টাকা যৌতুকও নেয় রুস্তম। ইন্নামার পরিবারের অভিযোগ, রুস্তমের অত্যাধিক যৌন চাহিদা মেটাতে অক্ষম ছিল ইন্নামা। তাই অপারগতা প্রকাশ করে সে। ইন্নামর অভিযোগ, “এরপর থেকেই শুরু ওপর অকথ্য নির্যাতন। সোমবার আমাকে ঘর থেকে তালাক দিয়ে বের করে দেয় রুস্তম।” এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে স্থানীয় তৃণমূলে নেতৃত্বের উস্কানি রয়েছে। তৃণমূল নেতা হওয়ার সূত্রে রুস্তম এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে আইনের হস্তক্ষেপ আশা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী। তাই এবার স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে ভালুকাগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসল সেই নববধূ।