ক্ষমতা থাকলে আমায় জেলে ভরুন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: কাটমানি থেকে শুরু করে আম্ফান নিয়ে বিরোধীদের “হুলে” যখন তৃণমূল নিজেই বিদ্ধ, সেই সময পাল্টা বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে একই কায়দায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাঁকুড়ার সভা থেকে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বক্তব্য, “বামেরা লোভী, বিজেপি ভোগী আর আমরা ত্যাগী।” এই জনসভা থেকে অনেকদিন পর বাঁকুড়া, জঙ্গল মহলে বামেদের অত্যাচার নিয়ে সরব হন তৃণমূল নেত্রী। জনসভায় উপস্থিত দর্শকদের মমতার প্রশ্ন, “বাঁকুড়ার মানুষ কি সেই সব অত্যাচারের দিন ভুলে গিয়েছেন?” তার ইঙ্গিত, সিপিএম নেতারা নাকি সারদা-নারদা মামলা থেকে বাঁচতে বিজেপির গেরুয়া জামা গায়ে পড়েছে। তবে এদিন হঠাৎ করেই তাকে “জেলে ভরে” দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের জনসভা থেকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, “ক্ষমতা থাকলে আমাকে জেলে ভরুন। সেখান থেকেও তৃণমূলকে বাংলায় ক্ষমতায় আনব।” এ প্রসঙ্গে তিনি বিহারের লালুপ্রসাদ যাদবের উদাহরণও টেনে আনেন। এদিনের জনসভা থেকে নাম না করেই কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন মমতা। তাঁর কথায়, “সারা বছর রাজ্যের মানুষকে দেখে না। নির্বাচনের আগে এলাকার মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে, আবার পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের হাত দিয়ে টাকা পাঠানো হচ্ছে।” এদিনের জনসভা থেকে নাম না করে দিলীপ ঘোষকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি মমতা। তাঁর খোঁচা, “কেউ কেউ বলছেন গোমূত্র খেলে করোনা হবে না। তিনি তো খেয়েছিলেন. তাহলে তাঁর কীভাবে করোনা হল?” শুনুকপাহাড়ীর জনসভা থেকে নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকেও কটাক্ষ করেন তিনি।