এবার প্রশ্ন কালনার তৃণমূল বিধাযককে নিয়ে, আদৌ কি দলে আছেন? শুরু ধোয়াশা।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, বেচারাম মান্নার পর এবার বিশ্বজিৎ কুন্ডু। দলীয় বিধায়কদের নিয়ে একেরপর এক বিড়ম্বনা বাড়ছে তৃণমূলে। প্রায় দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন, অথচ দলীয় কর্মসূচীতে দেখা নেই কালনার বিধায়ক বিশ্বজিত কুন্ডুর। আর এরপরই শুরু হয়েছে জোড় জল্পনা, তবে কি দলবদল করছেন তিনি? বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মী সম্মেলন শুরু করে দিযেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই কালনা-2 ব্লক সম্মেলন অনুষ্ঠিতও হয়েছে। সেই সম্মেলনে প্রধানবক্তা হিসাবে নাম থাকলেও অনুউপস্থিত বিধায়ক বিশ্বজিৎ। এমনকী দেখা যায়নি কালনা শহর কর্মী সম্মেলনেও। এরপর গোটা কালনা বিধানসভার কর্মী সম্মেলনও অনুপস্থিত থাকায় জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। তবে কি তিনি দলবদল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি? এমনই প্রশ্ন ঘুরছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সাধারণত দলের বিধানসভা ওয়াড়ি কর্মী সম্মেলন আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা নেওয়ার কথা স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিধায়কের। সেই জায়গায় কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু নিজেই একেরপরএক সভায় অনুপস্থিত, এমনকী তার ঘনিষ্ট কাউকেই দেখা যাচ্চে না দলীয় কোন কর্মসূচীতেই। আর এই নিস্পৃহতা দেখে দলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকেই ওই সব সম্মেলন আয়োজন করার ভার দিয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব। জেলা, রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও থাকছেন না বিধায়ক। যিনি দলে আমার মুকুল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এমনিতেই কালনায় শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর ঠান্ডা লড়াই। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগের সঙ্গে বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর বিবাদ দীর্ঘদিনের। রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করেও দুই পক্ষকে সেভাবে কাছাকাছি আনতে পারেনি। এরপর দলের কোনও কর্মসূচিতে বিধায়ককে দেখতে না পাওয়ার প্রসঙ্গকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। তবে এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাইছেন না বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। কি কারণে বিধায়কের এই অনুপস্থিতি সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁর অনুগামীরাও। তবে সূত্রের খবর, টিম পিকে র কাজকর্মে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এই বিধায়ক। এমনকী কালনায় সাংগাঠনিক রদবদলেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না তাকে। এই নিযে ইতিমধ্যে জেলা নেতৃত্বকে জানালেও লাভ কিছুই হয়নি। আর তার ফলেই এড়িয়ে চলছেন দলীয় কর্মসূচী।