মেদিনীপুর মাথা নত করে না, আমিও মাথা নত করবো না: শুভেন্দু অধিকারী
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : ফের কী বার্তা দিলেন শুভেন্দু? দলের সঙ্গে দুরত্ব বেড়েছে। নন্দীগ্রাম দিবসে তেখালিতে শুভেন্দুর পাল্টা হাজরাকাটায় সভা করেছে তৃণমূল। এমনকী নন্দীগ্রামের সভা থেকে নাম না করে নিজের দলকেই কটাক্ষও করেছেন তিনি। আর বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের মাটিতে দাড়িয়ে ফের আরও একবার “বিতর্ক” বাড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। সতীশ সামন্ত, থেকে অজয় মুখোপাধ্যায়, দেশপ্রাণ বীরেন শাসমল থেকে বিদ্যাসাগর, মাতঙ্গিনী হাজরার উদারন টেনে “মাথা নোয়াবো না” বলে “হুঙ্কার” ছাড়েন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, “মেদিনীপুর মাথা নত করে না। আমিও মাথা নত করবো না।” তার আরও বক্তব্য,” মনে আছে একটা সরকার বলেছিল, আমরা ২৩৫, ৩০ এর কথা শুনবো না। সেই দম্ভ ভেঙে দিয়েছিল নন্দীগ্রাম।” ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যজুড়ে নিজের জনভিত্তি বুঝে নিচ্ছেন শুভেন্দু। বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে “দাদার অনুগামী” ব্যানারে। দলীয় পতাকা ছাড়া এই সমস্ত কর্মসূচীতে একবারও উঠছে না মমতা বন্দ্পাধ্যায়ের নাম। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শাসক দলের অন্দরে। এমনকী নন্দীগ্রামের সভা থেকে ” ভারতমাতার জয়” বলে স্লোগানও শোনা গিয়েছে শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর গেরুয়া যোগ শুধু সময়ের অপেক্ষা। এদিন ঘাটালের দুর্গাপুর ইউনাইটেড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের বিজয়া সম্মিলনীতে এসে নিজের জনভিত্তি যাচাই করে ভীড়ে ঠাসা সভায় শুভেন্দুর প্রশ্ন,” আমি মাটিতে বসা তৃণমূল স্তরের কর্মী। আমি আপনাদের ঘরের ছেলে আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি আর আগামীদিনেও থাকব। কিন্তু আপনাদের আশীর্বাদ-দোয়া আমার সঙ্গে আছে তো?” ভরা মাঠে উপস্থিত মানুষের প্রতুত্তরে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু বলেন,” আমরা চরাইবতি চড়াইতি করে এগিয়ে যাব। অন্যরা দেখবে আর কাদবে আর ভাববে। দেখবেন লরির পেছনে লেখা থাকে দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।”