কিসস্যা মালদা কা” হঠাৎ গায়েব সভাধিপতি সহ জেলা পরিষদের ১০ সদস্য।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : এযেন পুরো “গিলি গিলি গে”। ভোজবাজির মতো গায়েব মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ আরও ১০ সদস্যের। দেখা নেই বেশ কয়েকজন তৃনমূল নেতারও। যা নিয়ে রীতিমতো কাপন তৃনমূলের অন্দরে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এই ১০ জনই নাকি বর্তমানে “বিদ্রোহী” এক নেতার নির্দেশের অপেক্ষায়। যদিও জেলা পরিষদ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতৃত্ব। দু’তিন ধরে খুজেই পাওয়া যাচ্ছে না এই ১০ জনকে। সেই তালিকায় আছেন জেলা পরিষদ সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দুরত্ব বাড়ার থেকেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই নেতাদের নজরদারিতে রাখছিল মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনকী গত সপ্তাহেই সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডলকে তৃণমূল ভবনে ডেকে পাঠায় উচ্চ নেতৃত্ব। কথাও হয় দুই তরফে। তবে সেই মিটিংয়ের দুদিন যেতে না যেতেই ” নিখোজ” প্রায় ১০ জন নির্বাচিত সদস্য। জেলায় যারা আবার শুভেন্দু ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত। তৃণমূলের একাংশের মতে, নিখোজ এই নেতারা পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় ” এক নেতার” আশ্রয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। পূর্ব মেদিনীপুরে এই বিশেষ নেতা যে শুভেন্দু অধিকারী সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। ২০১৪ সালে এই জেলায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পান শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৬ তে কংগ্রেসের কাছ থেকে জেলা পরিষদ কেড়ে নেয় তৃণমূল। পরে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলা পরিষদ জেতে তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই মালদাতে তৃণমূলের জেলা থেকে ব্লক পর্যন্ত শুভেন্দুর অনুগামীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। ইতিমধ্যে এই জেলাতেও একাধিক জায়গায় “দাদার অনুগামী” দেওয়া ফ্লেক্স চোখে পড়ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমনিতেই মালদা জেলায় শাসক দলের অব্স্থা ভালো না। তাও যেটুকু পালে হাওয়া আসছিল, তাও শুভেন্দু অধিকারীর দৌলতে। দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দুরত্ব তৈরি হওয়ায় এমনিতেই বিধানসভার ফল নিয়ে চিন্তার ভাজ জেলা নেতৃত্বের। এমনকী এই জেলা থেকে একটিও আসন তৃণমূল জিতবে কী না, তাই নাকি এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তার উপর এই ১০ জনের “নিখোজ” হয়ে যাওয়া আরও চিন্তার ভাজ বাড়িয়ে দিচ্ছে মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই জেলা পরিষদ শাসক দলের হাতছাড়া হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। মালদা( দক্ষিন) এর বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর বক্তব্য, ” ওই চোর আর কাটমানিখোরদের দলে কেউ আর থাকতে চাইছে না। তৃণমূল এখন ডুবন্ত নৌকা, আমাদের জন্য সবার দরজা খোলা। দেখতে থাকুন কী হয়।” অপরদিকে তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূরের মতে,” জেলা পরিষদ আমাদের হাতে ছিল আর আগামীতেও থাকবে। দল সবকিছু নজরে রাখছে। তবে যাদের পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”