ফের ক্ষোভ উগরে দিতে দলবদলের ইঙ্গিত রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূলে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ক্ষোভ অনেকটাই পিকে ও তার সংস্থা আই প্যাকের বিরুদ্ধে। প্রথমে মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্তের পর এবার রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। একেরপর এক বিদ্রোহ বাড়ছে তৃণমূলে। আরও বলা ভাল দলে আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রন কমছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যে ঘোষনা হয়েছে হুগলী জেলা কমিটি। আর সিঙ্গুরের কোন কমিটিতেই ঠাই হয়নি তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান বিধায়ক সিঙ্গুর আন্দলনের অন্যতম মুখ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আর তারপরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। অনুগামীকে দলের ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ফের রবিবারের পর সোমবারও ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এদিনও তিনি দলবদলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেন, ” কোন কারণে মহাদেব দাসকে এই পদ থেকে অপসারণ করা হল। সে সততার সঙ্গে কাজ করছিল বলে বাকিদের সমস্যা হচ্ছিল?’ এদিনও দলবদলের হুঁশিয়ারি দিয়ে সিঙুর আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমার মাথায় দলবদলের ভাবনা এসেছে। দলবদল করার প্রস্তাব রয়েছে। আমি এখন তা পাত্তা দিচ্ছি না। কিন্তু যদি প্রতিকার না হয় তাহলে আমাকে রাজনীতির আসরে থাকতে গেলে চিন্তা করতে হবে দলবদল করব কি না।” রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি, কৃষি প্রতিমন্ত্রী হয়ে বেচারাম মান্না তাঁকে ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেচারামকে আমাকে উপযুক্ত সম্মান দিতে বললেও সে আমাকে আপমান করেছে। পালটা তৃণমূলের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘রবীন্দ্রনাথবাবু একা সৎ, বাকি সবাই অসৎ, এটা ভাবা ঠিক নয়। দলে অনেকে রয়েছেন। সিঙুর আন্দোলনে বেচারাম মান্নারও অবদান রয়েছে। নতুন ব্লক কমিটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন করেছেন। রদবদল করতে হলে তাঁর অনুমতি প্রয়োজন।’