তৃণমূল বাংলায় জাত-পাতের রাজনীতি করছে ভাড়া করা সংস্থা দিয়ে : শীলভদ্র।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: ফের বিদ্রোহ তৃণমূলে। যে প্রশান্ত কিশোরকে দিয়ে ভোট বৈতরণী পার করার পরিকল্পনা রাজ্যের শাসক দলের। এবার দলে সেই পিকের বিরুদ্ধেই একের পর এক মুখ খুলছেন দলীয় বিধায়কেরা। মিহির গোস্বামীর পর এবার ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। বিজয়ার অনুষ্ঠানে দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে যা বললেন শীলভদ্র দত্ত, নির্বাচনের আগে তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়ানোর পক্ষে তা যথেষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, পিকের নাম করে আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই “টার্গেট”‘করলেন শীলভদ্র দত্ত। এর আগে একই ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ঘোষনা করে দলের সমস্ত পদ ছাড়েন কোচবিহার (দক্ষিন) এর বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এমনকী দলীয় অফিস থেকে খুলে ফেলেন দলীয় পতাকাও। পাশাপাশি পিকে’কে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা ঘনিষ্ট এই বিধায়ক। এবার সেই একই পথে হাটলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক। এর আগেও একাধিকবার ২১ এর নির্বাচনে আর দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছিলেন শীলভদ্র দত্ত। শারীরিক অসুস্থ বলে প্রার্থী হবেন না বলে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। তবে রবিবার দলের বিজয়া সম্মেলনে প্রার্থী না হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখা করেন তিনি। আর তাতেই অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের। এদিন তিনি বলেন,” আমি যে আর ভোটে দাঁড়াবো না, সেটা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি। তবে অসুস্থতার জন্য ছেড়ে চলে যাচ্ছি না। এট কেউ কেউ প্রচার করছে। ” এরপরই তার ভোটে না দাঁড়ানোর আসল কারন ব্যাখ্যা করে ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ” একটা বাজারি কোম্পানি, পয়সা দিয়ে ভোটের কাজ করতে চায়। যারা বাইরে থেকে এসেছে, সেই ভাড়া করা সংস্থাকে দিয়ে ভোট করাতে চায় তৃণমূল। সেই সংস্থা আমাদের জ্ঞান দিয়ে রাজনীতি শেখাচ্ছে! আমাদের এতদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, আর সেই সংস্থার একটা ছেলে এসে বলছে, আপনাকে ভোট নিয়ে ভাবতে হবে না, ভোট আমরা করাব। আমরা জেতাতে এসেছি!” এর আগে এতদিন বিজেপির বিরুদ্ধে জাতপাত বা গো-বলয়ের মত নির্বাচন করানোর অভিযোগ তুলে এসেছে তৃণমূল। তবে এবার নিজের দলের বিরুদ্ধে সেই জাত-পাতের রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক। শীলভদ্র দত্তের বক্তব্য,” তোমরা বাংলার ভোট করাবে? তোমরা বাংলাকে চেনো? এটা কি বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ বা দিল্লী নাকি? বাংলায় জাত-পাতের রাজনীতি আমদানী করা হচ্ছে। জাতের ভোট করানো হচ্ছে, হিন্দু-মুসলিম বাদ দিন, হিন্দুদের মধ্যে কে কোন জাত, ব্রাক্ষন না অ-ব্রাক্ষন, কে নীচু জাত, উচু জাত এইসব দেখা হচ্ছে। এইসব আগে কোনোদিন দেখিনি। বাংলার রাজনীতির সঙ্গে যে গুলো সম্পূর্ণ বেমানান।” রাজনৈতিক মহলের মতে, ঠিক নির্বাচনের আগে দলীয় বিধায়কের এহেন মন্তব্যে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল তৃণমূল।