বেলডাঙায় নৌকাডুবির ঘটনায় কাঠগড়ায় প্রশাসন।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: বেলডাঙায় নৌকাডুবির ঘটনায় কাঠগড়ায় প্রশাসন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কীভাবে বাইচ করে নিরঞ্জনের অনুমতি মিলল ? এমনকী কোন লিখিত কোন অনুমতি ছাড়াই নিরঞ্জনের জন্য ডুমনি বিলে নামেন হাজরা পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে , ঐতিহ্যবজায় রাখতেই হাজরা পরিবারকে বাইচ করে নিরঞ্জনের মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছিল । এমনকী, নৌকায় লাইফ জ্যাকেটও ছিল না। আর এরপরই কাঠগড়ায় প্রশাসন। বেলডাঙায় নৌকাডুবির ঘটনায় আঙুল উঠছে প্রশাসনের গাফিলতি। প্রশ্ন উঠছে, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরও হাজরা পরিবার কীভাবে বাইচ করে নিরঞ্জনের অনুমতি পেল? এমনকী স্থানীয়দের দাবি, নিরঞ্জনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনও ব্যবস্থাই ছিল না । এমনকী দেহ উদ্ধারকার্য নিয়েও প্রশাসনের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে । দশমীর দিন বেলডাঙার হাজরা পরিবারের প্রতিমা নিরঞ্জনের নৌকা উলটে মৃত্যু হয় পাঁচজনের । দু’টি নৌকার বাইচ করে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হচ্ছিল । দু’টি নৌকায় কমপক্ষে ৭০-৮০ জন উঠেছিলেন। অন্যদিকে, পরিবারের অনেকে মদ্যপ অবস্থায় নৌকায় উঠেছিল বলে অভিযোগ । এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এক মাঝি। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ডুমনি বিলে নৌকাডুবির ঘটনায় তাঁর দাবি, মত্ত অবস্থায় প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসেই বিপত্তি। যে ২টি নৌকায় করে প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছিল, তার একটির মাঝি আত্মারাম জানিয়েছেন, ‘সোমবার বিকেলে তাঁর নিষেধ অমান্য করেই নৌকায় অতিরিক্ত লোক ওঠে। নৌকা থেকে কয়েকজনকে নেমে যেতে বললেও কেউ সেকথা শোনেনি।” এমনকী তাঁকে নৌকা নিয়ে বিলের মাঝে যেতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রথা মেনে ২টি নৌকার মাঝে আড়াআড়ি কয়েকটি বাঁশ রেখে তার ওপর বসানো হয় প্রতিমাটি। বাঁশগুলি সরিয়ে নিলে প্রতিমা জলে পড়ে যায়। সোমবার বিকেলে প্রতিমা যখন মাঝ বিলে তখন ১টি বাঁশ সরানো যাচ্ছিল না। মত্ত অবস্থায় থাকা হাজরা পরিবারের সদস্যরা সেটিকে টেনে সরাতে একদিকে চলে আসেন। ওই মাঝির বক্তব্য, ‘আমি সবাইকে একদিকে জড়ো হতে বারণ করি। বলি যে আমি বাঁশ সরিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু আমার কথা শোনেনি। আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।’ স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ৪০ বছর ধরে হাজরাবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনে মাঝির দায়িত্ব পালন করছেন এই আত্মারাম। এমন দুর্ঘটনা আজ পর্যন্ত ঘটেনি। ওদিকে ৫ জনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ডুমনিবিল সংলগ্ন এলাকা।