নিজেকে ‘মস্তান’ ও ‘ভোট ছিনতাইকারী’ বলে হুশিযারী তৃণমূল নেতার।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : বিড়ম্বনা বুঝি একেই বলে। মঞ্চে বসে রাজ্যের মন্ত্রী। আর তার সামনে দাড়িয়েই “ভোট লুঠের” কথা স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল নেতা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় নেতার মন্তব্যে ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল। এবার কাঠগড়ায় জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস। একেই ভোটের নিরিখে এই জলপাইগুড়ি আসনটি কংগ্রেসের হাতে। আর লোকসভার বিধানসভা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে তা আবার গেরুয়া দখলে। আর সেখানেই এই নেতার মন্তব্য, ” আমরা যদি দাগি মালদের ভোটে জেতাতে পারি, তাহলে সদরের তাবড় তাবড় নেতা, ভাল মানুষ থাকতেও কেনও ভোটে জিততে পারি না?” একদিন আগের সেই ভিডিও ভাইরাল হওযার পর সোড়গোল তৃণমূলের অন্দরে। সোমবার জলপাইগুড়ি আর্ট গ্যালারিতে ছিল বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক। মানে কর্মিসভা। আর সেই সভায় হাজির উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। সেখানেই হঠাৎ এই ধরনের মন্তব্য করে বসেন বারাপেটিয়া এলাকার এই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। বলেন, “আমরা যদি দাগি মালদের ভোটে জেতাতে পারি, তাহলে সদরের তাবড় তাবড় নেতা, ভাল মানুষ থাকতেও কেনও ভোটে জিততে পারি না? ” এমনকি সরাসরি “গায়ের জোড়ে” কংগ্রেসের হাতে থাকা আসনটি দখলেরও হুশিযারী দেন তিনি। বলেন,” বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি শহরে আমার কর্মীদের ঢুকিয়ে আসনটি যে কোনও উপায়ে এই সিট জিতব।” এখানেই শেষ নয়, মন্ত্রীর সামনেই নিজেকে মস্তান ও ভোট ছিনতাইকারী বলে দাবী করেন তিনি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভোট লুঠের অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। তবে তার সামনে এই ধরনের কথা বললেও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি গৌতম দেব।