দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দায়িত্ব ছাড়লেন ‘অপমানিত’ মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়ক।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: দলে তাঁকে অপমানিত হতে হচ্ছে, তাই দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কোচবিহার ( দক্ষিণ) এর বিধায়ক মিহির গোস্বামী। জেলা রাজনীতিতে যিনি মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর “কাছের লোক” বলে পরিচিত। স্বচ্ছ ইমেজের এই বিধায়কের এহেন সিদ্ধান্তে যথেষ্ট অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির। মাসখানেক আগে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর এই নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর। অভিযোগ, রদবদলের বিষয়টি জেলার বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা না করেই করা হয়েছে। এমনকী তাঁর তালিকা করে দেওয়া পছন্দমোত সদস্যদের ঠাঁই হয়নি ব্লক কমিটিতে। এমনকী তার বিধানসভা এলাকাতেও তাকেই সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে বিভিন্ন কমিটি করা হয়েছে। গোটা বিষয়টির জন্য “অপমানিত” বোধ করে দলের সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব ছাড়লেন। বিধায়কের পাশাপাশি কোচবিহার ১ নং ব্লকেরও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দলকে চিঠি লিখে নিজের এই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মিহির গোস্বামী। এমনকী নেত্রী চাইলে তিনি যে বিধায়ক পদও ছাড়তে পারেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে এই প্রথম নয়, এই ব্লক কমিটি তৈরি নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কোচবিহার দক্ষিণের বিধাযক মিহির গোস্বামী। তার পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি নবগঠিত জেলা ও ব্লক কমিটি গঠনে। এমনকী তাঁর পাঠানো তালিকার কেউই স্থান পাননি জেলা ও ব্লক কমিটিতে। তাতে তিনি অপমানিত বোধ করেছেন বলে দলকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তার। তাই খোলা চিঠি লিখে সাংগঠনিক সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন মিহির গোস্বামী। চিঠিতে মিহির গোস্বামী স্পষ্ট জানিয়েছেন যে এক সময়ে তিনি তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কীভাবে লড়াই করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এই সময়ে এসে তাঁর মনে হয়েছে যে এই দল থেকে আর কিছু প্রাপ্তি নেই। দলীয় অনুশাসন ক্রমেই তলানিতে ঠেকেছে বলে মত বিধায়কের। এছাড়া দলে স্বজনপোষণ নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন মিহির গোস্বামী। এমনকী দলের উপর সেই ভরসা হারিয়ে তিনি চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করছেন। তাই দায়িত্ব ত্যাগের সিদ্ধান্ত। চিঠিতে তিনি এও জানিয়ে দেন যে দলনেত্রী নির্দেশ দিলে তিনি বিধায়ক পদও ছেড়ে দেবেন। দীর্ঘ ৫ দশকের রাজনৈতিক জীবনের ওঠাপড়ার মাঝেও দলের উপর ভরসা ছিল। তাও আর এই মুহুর্তে নেই। এমনকী তাঁকে যেভাবে অপমানিত হতে হচ্ছে তাও তিনি আর মেনে নিতে পারছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।