ফের সামনে সেক্স স্কান্ডেল। এবার বিজেপি বারাসাত জেলা সভাপতি।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : যৌন সঙ্গী হলেই দলে মিলবে কোন বড় পদ। এই লোভ দেখিয়ে একের পর এক ” সেক্স স্ক্যান্ডাল” সামনে আসছে গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতার। তালিকায় আগেই সামনে এসেছে রানাঘাট এর সাংসদ জগন্নাথ সরকার, থেকে শুরু করে যুব মোর্চার নদিয়া জেলা সভাপতিরও। উঠে এসেছে শমীক ভট্টাচার্যের নাম ও। তবে এখানেই শেষ নয়, এই ধরনের স্ক্যান্ডালে তালিকায় আরও অনেক বিজেপি নেতা কর্মীর নামই সামনে আসছে। আর পদের লোভে “প্রভাবশালী” নেতাদের যৌন সঙ্গী হচ্ছেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। প্রকাশ্যে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার সামনে এল বারাসাত সাংগাঠনিক জেলা সভাপতির নাম। তবে না। শয্যা সঙ্গিনী না, এবার পদ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে স্নানের সময়ের নগ্ন অবস্থার ছবি চাওয়া হল এক মহিলা নেত্রীর কাছে।

বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টপাধ্যায় ওই নেত্রীকে খুব স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিচ্ছেন, “আমি তোমার জন্য করছি, তুমি আমার জন্য করো।” বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মহিলার হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন ( যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫) ফাঁস হয়ে সামনে আসায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। ওই স্ক্রিন শটে দেখা যাচ্ছে জেলা সভাপতির সঙ্গে মহিলার যৌন আবেদনময়ী কথা। সেই সঙ্গে মহিলার পাঠানো নগ্ন ছবির স্ক্রিনশটও দেখা গিয়েছে।বারাসতের বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বিবাহিত। যার সঙ্গে তাঁর ওই কথোপকথন ফাঁস হয়েছে তিনিও বিবাহিত। সেই মহিলার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে বিজেপিতে বড় পদ পাইয়ে দেওয়া। এই সকল বিষয়ের জন্য ওই মহিলাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। তবে ওই চ্যাটে প্রকাশিত শঙ্কর বাবুর বয়ান অনুযায়ী ভর্তির জন্য সাংসদেরা নাকি টাকা চাইছে আর এর বিনিময়ে অনেক বাচ্চাকে ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার কারণে ওই মহিলার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আবার দেখা যাচ্ছে, ছেলে হোস্টেলে চলে গেলে তাঁর এবং জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ হতে সুবিধা হবে বলেও একটি মেসেজে এমন কথা লিখেছেন ওই মহিলা। কখনও আবার জেলা সভাপতির ব্যবহারে সন্দেহ প্রকাশ করে ওই মহিলা বিজেপি নেত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে জেলা সভাপতিকে লিখেছেন, “তুমি আমায় ইউজ করছো না তো?” যদিও পালটা আশ্বাস দিয়েছেন জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। আসলে ওই মহিলা নেত্রীকে বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। সেই বিষয়টি খুবই স্পষ্ট হয়েছে হোয়াটস আপ চ্যাটে । এবং এই লোভ দেখিয়েই ওই মহিলার কাছ থেকে নগ্ন ছবি চাইতেন তিনি। এই সকল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই বিষয়ে বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “সম্পূর্ণ বিষয়টি ভুয়ো। একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যাবে যে ওই সবই ফটোশপ করে তৈরি করা হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমাকে ফাঁসানোর জন্য ওই সব করা হয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।