আদি নব্যর গেরোয় বিজেপি, সৌমিত্রকে জেলায় কাজ করতে না দেয়ার হুমকি জেলা সভাপতির।
নবান্ন দখলের লক্ষ্যেআগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। যুবমোর্চার কর্মসূচি চোখে পড়ার মতো। সংসদ খোলা অথচ সাংসদ ও যুবমোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খান পশ্চিমবঙ্গ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আগামী 6 তারিখ নবান্ন অভিযান সফল করতে। ময়দানে নামিয়েছেন তাঁর বিশ্বস্ত বন্ধু অভিমানী প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরাকেও। পিছিয়ে নেই বিজেপির নেতারাও। রাজ্য নেতৃত্বর কেও না কেও রোজ ছুটছেন জেলায়। কিন্তু কোথাও যেন সমন্বয়ের অভাব। পুরানো বিজেপি ও নব্য বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। আদি বিজেপির নেতারা কিছুতেই এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় নব্য বিজেপি নেতাদের। সোজা কথায় রাজ্যে বিজেপি এই মুহুর্ত্বে দুটি শিবিরে বিভক্ত। আদি বিজেপি অর্থাৎ দিলীপ ঘোষ লবি এবং অন্যটি নব্য বিজেপি অর্থ্যাৎ মুকুল রায় গোষ্ঠী। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে। তার আঁচ এসে পড়েছে সৌমিত্রের নিজের জেলা বাঁকুড়ায়। এবার দলের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এবং সহ-সভাপতি সৌগত পাত্রকে জেলায় কাজকর্ম করতে না দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের বিরুদ্ধে। এক অডিও বার্তায় দম্ভের সুরে কারোর সঙ্গে কথোপকোনে এই হুমকির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সুসংগঠিত দল বলে পরিচিত বিজেপির অন্দরমহলের দৈন্যদশা ফুটে উঠেছে। যদিও বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের দাবি, এই অডিও বার্তা ভুয়ো। এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে মুখ খোলেনি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।