তোপধ্বনি দিয়ে শুরু হোল বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের দুর্গাপুজো।
সৌরেন দাস, নিউজ বেঙ্গল 365: করোনা আবহের মধ্যে তোপধ্বনি দিয়ে শুরু হোল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের দুর্গাপুজো। যদিও সেই ঐতিহ্য আজ আর নেই কিন্তু তবুও যেন ভাঙাচোরা রাজবাড়ীর নোনা ধরা ইটে কান পাতলে শোনা যায় প্রাচীন ইতিহাসের নানা কাহিনী । আজও তাই পুজোর সন্ধিক্ষণে মস্ত কামানের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে উঠল বিষ্ণুপুরের আকাশ বাতাস । সময় পরিবর্তনশীল কিন্তু এক হাজার কুড়ি বছর পরেও বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের প্রতিষ্ঠিত মা মৃন্ময়ী দেবীর পুজোর প্রাচীন রীতিনীতি আজও অটুট রয়েছে । আজ থেকেই শুরু হলো পট পুজো । পনেরো দিন আগের থেকে শুরু হয় পট পুজো । শাঁখারী পরিবারের ফৌজ পরিবার থেকে আনা হয় পট । বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের প্রাচীন মা দুর্গা মৃন্ময়ী দেবী রূপে পূজিত হন । বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজা জগৎমল্ল 997 খ্রিস্টাব্দে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন । সারা বছর ধরে মৃন্ময়ী দেবীর পুজো হয় দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা ভিড় জমান মায়ের পুজো দিতে । কিন্তু পুজোর দিন গুলিতে চণ্ডীপাঠ থেকে সবকিছুতে অন্যমাত্রা দেখা যায়। তবে এবার তার ব্যতিক্রম হবে। আজ পুকুরপাড়ে নবপত্রিকা ও মৃন্ময়ী মায়ের পুজোর শুভসূচনা ঘটছে এবং পুকুরে পুজো দিয়ে তিনটি তোপধ্বনি দিয়ে তারপর শুরু হল মন্দিরের মৃন্ময়ী মায়ের পুজো। রাজপরিবারের তোপধ্বনি শুনে বিভিন্ন এলাকার দুর্গাপুজো শুভ সূচনা হয়। যদিও এ বছর জাকজঁমক থাকছে না। একেতো করোনা তার ওপর আবার বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজপরিবারে এক সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তবুও পুরনো দিনের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে চালু হলো এই মৃন্ময়ী মায়ের পুজো আরাধনা।