পুলিশকে “বেলাগাম” আক্রমণ সৌমিত্র খানের।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ডেস্ক: দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র পর এবার সৌমিত্র খান। এবার পুলিশকে বেনজির আক্রমণ করলেন যুব মোর্চা সভাপতি ও বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। আজ দলীয় কর্মীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে আসানসোলে এসে পুলিশকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বলেন,” পুলিশ এখন দাস। এখানকার পুলিশ কি জিতেন্দ্র তেওয়ারির বাপের? উনি কি পয়সা দিয়ে পুলিশ পুষেছেন? যে উনার কথায় পুলিশ চলবে? সব হিসাব হবে।” সোর্শ্যাল মিডিয়ায় আসানসোল পুরনিগমের ভুয়ো সাইনবোর্ডের ছবি ভাইরাল করে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়! এই পোস্টে দেখা যাচ্ছে হিন্দি, ইংরাজি ও উর্দুতে লেখা সাইনবোর্ড। সেই ছবি দেখিয়ে দাবি করা হচ্ছে বাংলা উপেক্ষিত। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, উপরে থাকা বাংলা হরফ সুকৌশলে বাদ দিয়ে একাজ করেছে বিজেপির আইটি সেল! সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। ভুয়ো ছবি শেয়ার করার অভিযোগেই পুলিশ শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে আসানসোল পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে ধরনার জেরে গ্রেপ্তার যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-সহ বেশ কয়েকজন। এখানেই পুলিশকে নিশানা করে সৌমিত্র আরও বলেন,” এই কমিশনারেটে কোন পুলিশ অফিসারের কত সম্পত্তি সব আমাদের হিসাবে আছে। ৩ মাস পর সব বুঝিয়ে দেব। কমিশনারকেও এটা বলে গেলাম।” দলীয় নেতা গ্রেফতার প্রসঙ্গে সৌমিত্র খান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র নামে অহরহ ভুয়ো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হয়। সেক্ষেত্রে ধরপাকড় হয় না। বিজেপি বিধায়ককে খুনের ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়া হয়। অথচ অন্যের পোস্ট শেয়ার করলেই বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করা হয়। এভাবে চলতে থাকলে জেলা-সহ গোটা রাজ্য স্তব্ধ করে দেব আমরা।” এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সৌমিত্র খাঁ-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেপ্তারও করা হয়। সেখানেই কার্যত পুলিশকে হুশিযারী দিয়ে সংসদ বলেন, ” আমরা দলদাস পুলিশকে ভয় পাই না। লাঠি মারলে মারুন। আমরা ভয় পাইনা।” এদিন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারিকেও আক্রমণ করেন সৌমিত্র। বলেন,” জিতেন্দ্র তেওয়ারি আপনি বেআইনি ভাবে কয়লার কারবার করেন, টেন্ডার করেন সব আমরা জানি। ক্ষমতায় এলে আপনাকে বুঝিয়ে দেব।” এই পাল্টা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন,” আমি যদি কয়লা পাচার বা টেন্ডার করি সেটা দেখবে সিআইএসএফ। যা কেন্দ্রের অধীন। তাহলে ওরা কি করছিল। আর পুলিশ কারো বাবার হয না পুলিশ হয সরকারের সেটা উনার জানা উচিত।”
এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে লেখেন,’গতকাল যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চ্যাটার্জিকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে পুলিশ, তারই প্রতিবাদে আজ শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলাকালীন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি মাননীয় সৌমিত্র খাঁ সহ আমার আসানসোলের কর্মী-ভাইদের যে নির্লজ্জভাবে গ্রেফতার করল #TMছিঃ-র দলদাস পুলিশ তার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি।’