নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : বাড়ি থেকে তুলে নিযে গুলি করে খুন, নাকি পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু ? এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় ইটাহার। অভিযোগ, বুধবার রাতে থানা থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বড় বড়ুয়া নামক একটি জায়গা থেকে উদ্ধার হয় অনুপ রায় নামক এক যুবকের দেহ। মৃতের বাড়ি ইটাহার নন্দনগ্রাম এলাকায়। বিজেপির দাবী, মৃত অনুপ রায় তাদের দলের কর্মী ছিলেন। তবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত যুবকের মায়ের অভিযোগ তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাত দশটায় রায়গঞ্জ বিজেপি কার্যালয়ে যান মৃত যুবকের মা। তিনি অভিযোগ করেন, অসুস্থ ছেলেকে তৃণমূলের লোকেরা বেলা ১১ টা নাগাদ ডেকে নিয়ে যায়। পরিবারের দাবী, বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ অনুপের দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে মৃতের মায়ের অভিযোগ পাওয়ার পরজেলা বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, বুধবার সকালে দুই বাইক আরোহী অনুপ রায়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপর রাতে দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ব্যক্তি দলের কর্মী ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। পরে বয়ান বদলে বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিত লাহিড়ী বলেন, ” বিজেপি করার অপরাধে অনুপ কে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারে পুলিশ। এরপর ওর এক ভাইকে দিয়ে দেহ শনাক্ত করিয়ে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ। ” তবে এটি আদপে কোন খুন বা পিটিয়ে মারার ঘটনা নয় বলে দাবী রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের। তার বক্তব্য,” রাস্তা থেকে দেহ উদ্ধার হয়নি। ডাকাতির কেসে রিমান্ডে আনা একটা গ্যাং এর কাছ থেকে ওই যুবকের নাম সামনে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অসুস্থবোধ করলে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই ওই যুবক মারা যান। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের হাত আছে বলে মত বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের, তার বক্তব্য, “উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মী অনুপ রায়কে পুলিশ দিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করাল তৃণমূল। প্রায় প্রতিদিনই বাংলার কোনো না কোনো প্রান্তে নিয়ম করে এই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে তৃণমূল নামক রেজিস্টার্ড গুন্ডা ও চোর বাহিনীর সদস্যরা। তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রাপ্য টাকা, রেশনের চালের বস্তার পর মায়ের কোল ফাঁকা করার প্রজেক্ট যারা হাতে নিয়েছেন তাদের বলছি এখনও সময় আছে, শুধরে যান, নাহলে বাংলার মানুষ আপনাদের শুধরে দেবে”। যদিও এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের যোগ নেই বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের শ্রম রাষ্ট্রমন্ত্র গোলাম রব্বানী।
With Product You Purchase
Subscribe to our mailing list to get the new updates!
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur.
Related Articles
Check Also
Close