মুম্বাইয়ের বিস্ফোরক বোলিংয়ের সামনে কেকেআরের ব্যাটিং তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক :- কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এর নাম শুনলেই যেন ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে । আইপিএলে এই দুই বড় দলের লড়াইটা সব সময়ই হয় একপেশে। কলকাতাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলে সহজেই ২ পয়েন্ট পেয়ে যাবে মুম্বাই, এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে । এবারের আইপিএলেও ব্যতিক্রম না।
পর পর ব্যাটিংয়ের দাপট দেখিয়ে কলকাতাকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেল মুম্বাই। এই নিয়ে আইপিএল ইতিহাসে কলকাতা-মুম্বাইয়ের ২৭ বারের দেখায় ২১তম জয় পেল মুম্বাই।ম্যাচের আগেই কলকাতা ছিল এলোমেলো। নিয়মিত অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক দায়িত্ব তুলে দেন বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগানের হাতে। কিন্তু কলকাতার এই ‘মুম্বাই জুজু’ কাটাতে পারলেন না নতুন অধিনায়ক মরগানও। মুম্বই ম্যাচের কয়েকঘণ্টা আগেই চূড়ান্ত নাটক। অধিনায়ক পদ থেকে দীনেশ কার্তিকের সরে যাওয়া। দায়িত্ব পেলেন ইওন মর্গ্যান। কিন্তু কলকাতা বদলাল না। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই ফেল ২০১৯ বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। ৬১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দুইবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন। আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ও নতুন অধিনায়ক মরগান মিলে কলকাতাকে লজ্জা থেকে বাঁচান। দুজন মিলে ৮৭ রান যোগ করে অবিচ্ছেদ্য থাকেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। মরগান করেন ২৯ বলে ৩৯ রান, ৩৬ বলে ৫৩ রান কামিন্সের। আবুধাবির মন্থর উইকেটে ৫ উইকেটে ১৪৮ রান তোলে কলকাতা।
মুম্বাইয়ের টপ অর্ডার দ্রুত ফেরাতে পারলে এই রান নিয়েও লড়াই করতে পারত কলকাতা। কিন্তু রোহিত শর্মা, কুইন্টন ডি কক বোধ হয় অন্য পরিকল্পনা করে নেমেছিলেন। ম্যাচ কতটা দাপটে জেতা যায় সেটাই দেখালেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার। ওভার প্রতি সাড়ে সাত রান দরকার, ওদিকে মুম্বাই ইনিংসের শুরু থেকে খেলেছে প্রায় ১০ রান রেটে। ৩৬ বলে ৩৫ রান করে রোহিত আউট হলেও ডি কক থামেননি। তিনে নামা সূর্য কুমার যাদব আউট হন ১০ বলে ১০ রান যোগ করে। তবে ডি ককের অপরাজিত ফিফটি কলকাতাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে। হার্দিক পান্ডিয়া এসে দ্রুত কিছু রান করায় ম্যাচের ১৯ বল বাকি থাকতেই মুম্বাই জিতে যায়। ডি ককের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৪৪ বলে ৭৮ রান। ৩ ছক্কার সঙ্গে ৯টি চার।
এই জয়ে আবার ৮ ম্যাচে ৬ জয় আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রোহিতের দল। ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা চারে।