পরিসংখ্যান উন্নত করতে পারলেন না দীনেশ কার্তিকরা। ফের মুম্বইয়ের কাছে হার।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক:- পরিসংখ্যান উন্নত করতে পারলেন না দীনেশ কার্তিকরা। ফের মুম্বইয়ের কাছে হার। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরে বসল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে এই হারের থেকেই বড় ব্যথা দিয়ে গেলেন দলের সবথেকে দামি তারকা। প্যাট কামিন্সকে সাড়ে পনের কোটি টাকা খরচ করে নিলামে কিনেছিল কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। আইপিএলের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন সবথেকে দামি ক্রিকেটার। তবে প্রথম ম্যাচেই ডাহা ব্যর্থ কামিন্স।টসে হেরে রোহিত শর্মা বলেন, আগে যা হয়েছে তা অতীত। কিছু জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। আশা করছি আগের দিনের ভুল আমরা করব না। আমরা একই প্রথম এগারো নিয়ে খেলছি। পোলার্ড দলে থাকা খুবই ভাল। উনি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার।বিশ্বের একনম্বর টেস্ট বোলার বুধবার নিজের ৩ ওভারে খরচ করলেন ৪৯ রান। ১৮ বলের সংক্ষিপ্ত স্পেলেই কামিন্স ৪টে ওভার বাউন্ডারি এবং ৩টে বাউন্ডারি হজম করলেন। তার পরেই একগাদা অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে কেকেআর।রোহিতের হিট: পঞ্চম ওভারেই কামিন্সকে আক্রমণে এনেছিলেন দীনেশ কার্তিক। প্রথম ওভার থেকেই রোহিত চড়াও হন অজি পেসারের উপর। দুটি ছক্কা মেরে কামিন্সকে ‘স্বাগত’ জানান রোহিত। দুটো বলই ছিল খাটো লেংথের। মিড উইকেট দিয়ে ওড়াতে ভুল করেননি মুম্বইয়ের মহাতারকা অধিনায়ক।এরপরে কামিন্সকে ১৫ তম ওভারে আক্রমণে আনা হয়। তবে এবার রোহিত নন, কামিন্সকে সাধারণের স্তরে নামিয়ে আনেন সৌরভ তিওয়ারি। একটা করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি সমেত সেই ওভারে ১৫ রান তোলেন তিওয়ারি।
১৭ তম ওভারে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। অজি পেসার সেই ওভারে পান্ডিয়া বিরুদ্ধে খরচ করলেন ১৯ রান। জোড়া বাউন্ডারি এবং একটা ওভার বাউন্ডারি সমেত। কামিন্সকে এরপর পুরো ৪ ওভারের কোটা পূরণ করার সাহস দেখাননি ক্যাপটেন দীনেশ।মুম্বই ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড গড়লেন কামিন্স। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই যুগ্ম নিকৃষ্টতম বোলিং পারফরম্যান্স। এর আগে ২০১৬ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জয়দেব উনাদকাটও ৩ ওভারে ৩৯ রান খরচ করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপকভাবে ট্রোলড হতে থাকেন তিনি। প্রজ্ঞান ওঝা বলেন, “কামিন্স কি কখনও রোহিতকে ব্যাট করতে দেখেনি। এভাবে বল করলে ও সারাদিন বল ওড়াতে থাকবে।”বলে ব্যর্থ হলেও ব্যাটে কিছুটা ক্ষতি পূরণ করে দেন কামিন্স। ১২ বলে বিধ্বংসী ৩৩ করে যান তিনি। জসপ্রীত বুমরাকে এক ওভারের চারটে ছক্কা হাঁকান তিনি। তা সত্ত্বেও কেকেআরের মানরক্ষা হয়নি। হারতে হয়েছে ৪৯ রানের ব্যবধানে।সবচেয়ে বড় কথা ব্যাটিং তুলে দিল অনেক প্রশ্ন। ভুল না শোধরাতে পারলে আগামী ম্যাচগুলোতেও মাথা চাপড়াতে হবে কিং খানের দলকে। কার্তিকের অধিনায়কত্বে নতুনত্ব কিছু দেখা গেল না। চাপের মাঝে একের পর এক ভুল। এরকম চলতে থাকলে মর্গ্যানর অধিনায়ক হওয়া সময়ের অপেক্ষা।