‘ইয়ে সব কা গেম হ্যায়।’
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক:-দেবদত্ত জীবনের প্রথম আইপিএল খেলতে নেমে সুযোগটা দারুণ কাজে লাগিয়েছে। হাত ও চোখের সমন্বয় দুর্দান্ত। সঙ্গে রয়েছে সাহস। তাই শুরু থেকেই ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খানদের মোকাবিলা করেছে আগ্রাসী ছন্দে। ওপেন করতে নেমে ঝকঝকে ৫৬ রানের ইনিংস খেললেন। সঙ্গে ৩৬০ ডিগ্রির এবিডি। যার সুবাদে ১৬৩/৫ তুলেছিল আরসিবি। জবাবে সানরাইজার্স থেমে গেল ১৫৩ রানে। আমিরশাহীতে আইপিএল শুরুটা ভালই হল বিরাট কোহলির। জয় এল ১০ রানে।শুরুটা করেছিলেন পাডিক্কাল। আর শেষটা করলেন যজুবেন্দ্র চাহাল। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন। যার মধ্যে পরপর দু’বলে ফেরালেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা বেয়ারস্টো (৬১) ও বিজয় শঙ্করকে (০)। অসাধারণ দুটো গুগলি। যার কিনারা পাননি হায়দরাবাদের দুই ব্যাটসম্যানও। আর কোনও ব্যাটসম্যান লড়তে পারেননি। কিছুটা মণীশ পাণ্ডে (৩৪) ছাড়া। ওয়ার্নারের রান আউট একটা তফাত গড়ে দিল তো বটেই। চাহাল ছাড়াও আরসিবি বোলিংয়ে ছাপ রাখলেন নভদীপ সাইনি, শিবম দুবেরা। বিরাট (১৪) রান পাননি। ফিঞ্চও (২৯) তাড়াতাড়ি থেমে গেলেন। পাডিক্কালের সঙ্গে খেললেন ডি’ভিলিয়ার্স। করলেন ৩০ বলে ৫১। যার মধ্যে রয়েছে ৪টি চার ও ২টি ছয়। হায়দরাবাদ বোলিংয়ে উইকেট না পেলেও ভুবি সফল। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বের করে নেবে হায়দরাবাদ। যেভাবে খেলছিলেন মণীশ পাণ্ডে ও বেয়ারস্টো, তাতে বেঙ্গালুরুর কাজটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। মোক্ষম সময়ে চাহালকে আনলেন বিরাট। এবার আইপিএলের বিজ্ঞাপনে একটা গান বাজছে। তার একটা লাইন হল, ‘‘ইয়ে সব কা গেম হ্যায়।’’ ১৬ তম ওভারের পরপর দুটো উইকেট আরসিবির দিকে ম্যাচ ঠেলে দিল। সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি ২০১৬–র আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।