শ্রীশ্রীলক্ষ্মীর পাঁচকাহন
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক :- লক্ষ্মীপূজার সাধারণ কিছু বিষয়ঃ
মা লক্ষ্মীর পুজোর সময় কোনও ভাবেই লোহার তৈরি বাসন ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি। কাঁসা-পিতল-তামা-কলাপাতা এগুলো সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ।
লক্ষ্মী দেবীকে কোনও ভাবে সাদা রঙের ফুল অর্পণ করা যাবে না। সাদা রঙ ছাড়া লাল, হলুদ, গোলাপি রঙের ফুল ব্যবহার করা যাবে। পদ্ম-করবী-চাঁপা-তিলফুল-কদম-কেতকী সবচেয়ে শ্রেয়। কোনোভাবেই আকন্দ ধুতরা দেবেন না। লক্ষ্মী দেবীর পুজোর সময় কোনও ভাবে তুলসী পাতা দেওয়া যাবে না। তবে নারায়ণের যখন পূজা হবে তখন সচন্দন তুলসী দিতে হবে।
মা লক্ষ্মীর আসনে সাদা বা কালো কাপড় পাততে নেই, লাল, গোলাপি প্রভৃতি রঙের কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এতে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন।
লক্ষ্মী পুজোর দিন কোনও ভাবে বাড়ি থেকে অন্য কাউকে চাল দিতে নেই।
সাধারণত প্রায় সব পুজোর সময়ই কাঁসর ঘণ্টা বাজানো হয় কিন্তু মা লক্ষ্মীর পুজোয় ভুল করেও কাঁসর ঘণ্টা বাজানো যাবে না। সন্ধ্যার সময় সবচেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ কাল লক্ষ্মীপূজার।
লক্ষ্মী পুজো করার সময় নিজেকেও লাল, গোলাপি, হলুদ, কমলা এই ধরনের রঙের বস্ত্র পরতে হবে। সাদা বা কালো বস্ত্র একেবারেই পরা যাবে না।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার দিনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো উচিৎ। সমস্ত রাত্রি ধরে অখন্ড ঘিয়ের প্রদীপ জ্বলবে।
দেবীর প্রিয় ফল হলো নারিকেল। তাই নারকেলের জল, নাড়ু নারকেল কোঁড়া, নারকেলের সন্দেশ ইত্যাদি নারকেল জাতীয় উপাদান নিবেদন করতে হবে। এছাড়াও সাদা তিল দেবীর প্রিয়।
শঙ্খধ্বনি ছাড়া অন্য কোনো বাদ্যশব্দ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। ধূপ ধূনোয় পূজার স্থান পরিপূর্ণ থাকবে।
সাত্ত্বিক চিত্তে আনন্দ ভাবে মনকে স্থির করে দেবীলক্ষ্মীর পূজায় ব্রতী হতে হবে। মন চঞ্চল হলে লক্ষ্মীলাভ বড়ই কঠিন হয়ে যাবে।
লক্ষ্মীপূজা করে নারায়ণ, ইন্দ্র, কুবের ও পেঁচকে পৃথকভাবে পূজা করতে হয়।
লক্ষ্মী কবচম্ / ধনলক্ষ্মী কবচম্ / সৌভাগ্যলক্ষ্মী কবচম্ পাঠ করা অবশ্যই কর্তব্য।
পদ্মবীজের মালায় দেবীর নাম মন্ত্র জপ করুন। অথবা পদ্মবীজ মালা নিজে পড়ে পূজা করুন বা দেবীকে পড়ান।
সোনা, রূপো, মুক্তো, কড়ি, ধান, পান, সুপারি, গোটা কাঁচা হলুদ, পদ্ম ফুল, শঙ্খ, একচোখ বিশিষ্ট নারকেল, সিন্দুর কৌটা/সিন্দুর ঝাঁপি, ঘিয়ের প্রদীপ, এই সকল দ্রব্য একটি কাঁস্যপত্র বা বড় কলাপাতা সাজিয়ে প্রদীপটি সারা রাতের জন্য জ্বালিয়ে রাখবেন দেবীর নিকট। এগুলি দেবীর প্রতিটিই প্রিয় উপাদান।
সম্ভব হলে দেবীর সহিত শ্রীযন্ত্রম্ রেখে পূজা করুন।
পূজার দিন।সকালে সমস্ত বাড়িতে গোবর জলের ছিটা দিয়ে আলপনা দিয়ে দিন সম্ভব মতো। তারপর সন্ধ্যায় দেবী আরাধনায় মনোনিবেশ করুন।।(সংগৃহীত)