অমৃতকথা :-দুর্গা – মহাশক্তি ও মহামাধুর্যের প্রতীক
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক:
বাংলা দিনপঞ্জী :সুপ্রভাত, আজ ৮ই আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (১৮৫ রামকৃষ্ণাব্দ) শুক্রবার (ইং : ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২০) ।তিথি : আজ মল-আশ্বিন শুক্লা নবমী রাত্রি ১০।৩১ পর্যন্ত ।
অমৃতকথা :-দুর্গা – মহাশক্তি ও মহামাধুর্যের প্রতীক :-পর্ব – ৬তন্ত্র ও পুরাণে দুর্গা ও কালীকে আদ্যাশক্তির দুই রূপ বলে বর্ণনা করা হয়েছে । দুর্গার স্বরূপ সম্বন্ধে ‘চণ্ডী’তে একটি সুন্দর শ্লোক বলা হয়েছে : “চিতিরূপেণ যা কৃৎস্নমেতদ্ব্যাপ্য স্থিতা জগৎ” । এই শ্লোকের দ্বারা দেবীকে পরব্রহ্মেরই পর্যায়ভুক্ত করা হয়েছে । দেবী পরমাপ্রকৃতি এবং পরব্রহ্মের সহিত অভিন্না । তাই তিনি স্বয়ংসিদ্ধা । তবে যে মা দুর্গাকে ‘হৈমবতী’, ‘উমা’, ‘পার্বতী’ ইত্যাদি আখ্যা দেওয়া হয়, এরই বা তাৎপর্য কী ? দেবী দুর্গা স্বয়ংসিদ্ধা, কাজেই তিনি হিমালয়কন্যা ‘হৈমবতী’, ‘উমা’ বা ‘পার্বতী’ হবেন কী করে ? এর তাৎপর্য সম্ভবত এই যে, শুম্ভনিশুম্ভকে বধের জন্য দেবতারা হিমালয়ে কঠোর তপস্যা করলে তাঁদেরই ইচ্ছাশক্তি বা তপঃপ্রভাবে দেবী রূপ পরিগ্রহ করেন এবং সেই অর্থেই হয়তো অতুলনীয় সৌন্দর্যের অধিকারিণী সেই দেবীকে হিমালয় কন্যা বা ‘হৈমবতী’, ‘উমা’ বা ‘পার্বতী’ আখ্যা দেওয়া হয় । তবে ভারতীয় জনমানসে দেবীর উমারূপটি বিশেষ প্রিয় । শশিভূষণ দাশগুপ্ত লিখেছেন : “কবি কালিদাস পর্বত-দুহিতা উমাকে কন্যারূপে, পত্নীরূপে এবং জননীরূপে সৌন্দর্যে মাধুর্যে এবং প্রেমে পরিপূর্ণ করিয়া ভারতবাসীর অন্তরের কাছে পৌঁছাইয়া দিয়াছেন ।” স্বামী দেবেন্দ্রানন্দের ‘বেলুড় মঠে স্বামীজীর দুর্গা পূজা’ গ্রন্থ থেকে সঙ্কলিত ।
সঙ্কলক : চৌসিশ ।
Attachments area