অমৃতকথা :-‘দুর্গা’ – মহাশক্তি ও মহামাধুর্যের প্রতীক
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক:-বাংলা দিনপঞ্জী :সুপ্রভাত, আজ ৪ঠা আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (১৮৫ রামকৃষ্ণাব্দ) সোমবার (ইং: ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২০)।তিথি : আজ মল-আশ্বিন শুক্লা চতুর্থী দিবা ৭।৩৭ পর্যন্ত ।* আজ বিশ্ব অ্যালঝাইমার দিবস ।* আজ আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস ।
অমৃতকথা :-‘দুর্গা’ – মহাশক্তি ও মহামাধুর্যের প্রতীক :-পর্ব – ২চণ্ডীর মতে, সব দেবতার শরীর থেকে বিকীর্ণ পুঞ্জীভূত অতুলনীয় তেজোরাশি একত্র হয়ে যে-নারীমূর্তি রূপ পরিগ্রহ করে ত্রিলোক পরিব্যপ্ত করেন তিনিই দেবী দুর্গা। কিন্তু নারী রূপে কেন ? কারণ, নারী শক্তির প্রতীক । সকল দেবতার শক্তিই নারীরূপে প্রকাশিতা । বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন : ”দেবতা আপন ক্ষমতার দ্বারা আপনার করণীয় কাজ নির্বাহ করেন, সেই ক্ষমতার নাম শক্তি । অগ্নির দাহ করিবার ক্ষমতাই তাঁহার শক্তি । তাঁহার নাম স্বাহা। ইন্দ্র বৃষ্টি দান করেন, বৃষ্টিকারিণী শক্তির নাম ইন্দ্রাণী । পবন বায়ুর দেবতা, বহন-শক্তির নাম পবনানী। রুদ্র সংহারকারী দেবতা, তাঁহার শক্তির নাম রুদ্রাণী ।”মহিষাসুরমর্দিনীর নারীরূপ দেবতাদের সম্মিলিত শক্তিরই প্রতীক । বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এক ও অদ্বিতীয় এই শক্তিই বর্তমান । বেদের ব্রহ্ম ও শক্তি, সাংখ্যের পুরুষ ও প্রকৃতির সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের জড় (Matter) ও শক্তি (Energy) তত্ত্বের দিক থেকে খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ । তন্ত্রের শিব ও কালী – ভাবনায় সেই একই তত্ত্বের আভাস । অলৌকিক দেব-দেবী ও লৌকিক পুরুষ-স্ত্রী, পতি-পত্নী সবই এই তত্ত্বের মধ্যে পড়ে । রাধাকৃষ্ণলীলাও সেই এক তত্ত্ব । নারীর মোহিনীরূপ, স্ত্রীত্ব, মাতৃত্ব সবই সেই ‘দেবাত্মশক্তি’র বহিঃপ্রকাশ । স্বর্গরাজ্য পুনরধিকারের পরে অহঙ্কৃত দেবতাদের দর্পচূর্ণ করেন স্বয়ং ব্রহ্ম, কিন্তু তিনি নিজে আত্মপরিচয় না দিয়ে ‘উমা হৈমবতী’র মাধ্যমে তা ব্যক্ত করেন।স্বামী দেবেন্দ্রানন্দের ‘বেলুড় মঠে স্বামীজীর দুর্গা পূজা’ গ্রন্থ থেকে সঙ্কলিত।
বিঃদ্রঃ দেবতাদের দর্পচূর্ণ বিষয়ে একটি পৌরাণিক আখ্যান আছে, সেটা এই ধারাবাহিকের শেষ পর্বে উপস্থান করা হবে ।