বিজেপিতে প্রার্থীপদ বা উচ্চপদ পাওয়ার কোনও আশা নেই জেনেই কী ভোলবদল সুজাতার!
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: তবে কি প্রার্থীপদ পাবেন না বা দলেও উচ্চপদ পাওয়ার কোনও আশা নেই জেনেই কী ভোলবদল! সোমবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র স্ত্রী সুজাতা খাঁ। বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় ও দলীয় মুখপাত্র কুনাল ঘোষের সঙ্গে তৃণমূল ভবনে আসেন সাংসদ পত্নী। হাতে দলীয় পতাকাও তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানানো হয় দলে। পরে সুজাতা বলেন, “ঘরে ফিরে নিশ্চিন্তে শ্বাস নিতে পারছি। বিজেপি যোগ্যদের সম্মান দেয় না।” ঘর ওয়াপসি’র পর সাংবাদিক সম্মেলনে সুজাতার অভিযোগ, মহিলা হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টিতে তিনি সম্মান পাচ্ছিলেন না। লোকসভা ভোটে সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুর এলাকায় ঢুকতে না পারলেও প্রায় সুজাতার একক লড়াইয়ে লক্ষাধিক ভোটে জেতেন সৌমিত্র।। যদিও বিজেপি সূত্রে খবর,স্বামীকে জেতানোর পরিবর্তে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় দলের টিকিট চেয়েছিলেন তিনি। দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায় এমনকী সৌমিত্রকেও নিজের ইচ্ছের কথা জানালেও, সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকী মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদের বায়নাও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে করেন সুজাতা। লাভ হয়নি তাতেও। সূত্রের আরও খবর, বিজেপি যে কোনও ভাবেই পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়ার পরই পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে তৃণমূলে নিজের ‘দর’ বোঝাতে শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমনের নিশানা করেন তিনি। নাম না করেই তাকে ‘পচা আলু’ বলেও কটাক্ষ করেন। তাঁর মন্তব্য, ”যে দল অন্য দল থেকে পচা আলুদের নিয়ে নেতা, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর লোভ দেখায়, সেই দল এগোতে পারে না।” বিজেপিকে তৃণমূলের বি-টিম বলেও অভিহিত করেন সুজাতা খাঁ। তাঁর যুক্তি, ”রাজ্যের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখা দল অন্য দলের লোভী, ভোগী, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নিয়ে আসছে। সেই দলে থাকার কোনও অর্থ নেই বলে মনে করি।” উল্লেখ্য, ২০১৯এ লোকসভা ভোটের আগে আচমকাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ, স্বামীর সঙ্গে দলবদল করেন সুজাতাও। সেসময় তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় বিষোদগার করতে শোনা গিয়েছিল এই সুজাতাকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, তীব্র উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার লোভেই দল ছাড়লেন সুজাতা।