শুক্রবারে বড় ধাক্কা তৃণমূলে। মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। পদ্ত্যাগ পত্র পাঠালেন রাজ্যপালকে।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত মমতার মন্ত্রীত্ব ছারলেন শুভেন্দু অধিকারী। ছেড়ে দিলেন রাজ্য সরকারের দেওয়া জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তাও। গতকালই এইচএসবিসির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন তিনি। আর আজ সরাসরি মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন তিনি। তবে বিধায়ক পদ থেকে এখনও পদত্যাগ করেন নি তিনি। যদিও পদত্যাগের কোনও কারণ দেখান নি । এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে দ্রুত এই পদত্যাগ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ই-মেইল মারফত পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তিনি। এদিন সেচ, পরিবহণ ও জল সম্পদ দফতরের মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন। তবে সূত্রের খবর, এখনও সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেন নি মুখ্যমন্ত্রী। সংঘাত শুরু অনেকদিন। পিকের হাত ধরে সাংগাঠনিক রদবদলের পর থেকে ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রাম দিবস থেকে তা চরমে পৌঁছায়। সরাসরি নাম না করে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। পাল্টা ময়দানে নামে ফিরহাদ হাকিম ও কল্যাণ বন্দপাধ্যায়। শুরু হয় সংঘাত। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলীয় প্রতীক ছাড়াই একাধিক কর্মসূচীও নেন তিনি। শুরু হয় দল বদলের সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে একাধিক জেলায় ” দাদার অনুগামী” নামে পাল্টা কর্মসূচী নেওয়া শুরু হয়। যদিও বরাবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দলনেত্রী হিসাবে মেনে এসেছেন। তবুও যত দিন গিয়েছে দুরত্ব তত বেড়েছে। অপরদিকে তৃণমূলের তরফেও বাড়াতে চাপ। পূর্ব মেদিনীপুরে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শুভেন্দু অনুগামীদের। অপরদিকে শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেও ফিরহাদ ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েও কার্যত চুপ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পাল্টা রাস্তাও খোলা রাখে তৃণমূল। বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কে পাঠানো হয় শুভেন্দুর সঙ্গে আলোচনায়। ২ বার বৈঠকের পরও জট কাটেনি। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি শর্তও দেন। যার মধ্যে অন্যতম হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিকের ক্ষমতা হ্রাস করা। তাকে আবার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ায় মত বেশ কিছু শর্ত দেন তিনি। আলোচনার মধ্যেই গতকাল এইচআরবিসি ও আজ মন্ত্রীসভা থেকে পদ্ত্যাগ করলেন তিনি। সূত্রের খবর, গতকাল এইচআরবিসি’র চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করার পর সেই জায়গায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনাকে কার্যত অপমান মনে করছেন তিনি। আর তার পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। সূত্রের খবর, তবে আলোচনার রাস্তা খোলা রাখছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ যাদের সঙ্গে শুভেন্দুর মত বিরোধ তাদের সঙ্গে মুখোমুখি বসতে সম্মতি দিয়েছেন তিনি।