রাজনীতি থেকে স্বেচ্চা অবসর নিতে চেয়ে মুকুল পুত্রের পোস্ট নিয়ে জল্পনা।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫, নিউজডেস্ক: তবে কি রাজনীতির উপর বীতশ্রদ্ধ শুভ্রাংশু রায়? নাকি নতুন দলের উপর অভিমানে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন তিনি? সদ্য বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মুকুল রায়। অর্থাৎ দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহাদের উপর নয়, অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদী, জেপি নাড্ডাদের ভরসা করেছেন মুকুল রায়ের ওপর। আর ঠিক সেই সময়েই মুকুল পুত্রের এহেন পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বৃহস্পতিবার আচমকাই নিজের ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন-” রাজনীতি থেকে থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিলে কেমন হয়?” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিজেপিতে খুব একটা স্বস্তিতে নেই মুকুল পুত্র। এমনকী দলে খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছেন না তাই ক্ষোভে দল ছাড়ার কথা বলছেন। সূত্রের খবর, নিজের হাতে সাজানো বীজপুর থেকে এবার টিকিট নাও পেতে পারেন তিনি। তার বদলে চাকদহ থেকে তাকে দাড় করাতে পারে দল। যা নিয়ে যথেষ্ট মনক্ষুন্ন শুভ্রাংশু। এমনি গোটা বীজপুর জুড়ে পুরনো ও নতুন বিজেপি নিয়ে মনমালিন্য চ্লছে। সূত্রের খবর বীজপুর বিশেষ করে কাচরাপাড়া-হালিশহর এলাকায় অনেক পুরনো বিজেপি কর্মীরা শুভ্রাংশু কে মেনে নিতে পারছে না। সেই জায়গায় দাড়িয়ে স্বেচ্ছা অবসর নেওয়ার কথা বলেছেন বলে অনেকেই মনে করছেন। আবার অপর অংশের মতে, আবার নিজের পুরনো দলে ফিরতে চাইছেন তিনি। তাই এখানে গেরুয়া শিবির থেকে স্বেচ্ছা অবসরের কথা বলেছেন মুকুল পুত্র। বিশেষকরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই পোস্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এই পোস্ট নিয়ে এত বিতর্ক কিছু নেই বলে মত শুভ্রাংশ রায়ের। তার বক্তব্য, “এর পিছনে অন্য কোন কারণ নেই। রাজনীতি করতে গিয়ে পরিবারকে সময় দেওয়া হচ্ছে না। তাই বিশ্রাম চাইছি।” তবে এই ব্যাখ্যা আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহল।