মাথায় গোল টুপি থাকলে এভাবে পুলিশ মারতে পারত না: দিলীপ ঘোষ।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: ফের বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। বিজেপির নবান্ন অভিযানের মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করা হয় বলবিন্দর সিংএর পাগড়ি খুলে দেওয়া ও তকে গ্রেফতার করা নিযে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাকে ও গ্রেপ্তারি নিয়ে শুরু হযেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে টানাপোড়েন। শনিবার বর্ধমানে রাজ্যের পুলিশকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ” গ্রেফতার হওয়া বলবিন্দর সিং প্রিয়াংশু পাণ্ডের দেহরক্ষী। কোন নিয়মে দেহরক্ষীদের কেস দেওয়া বা গ্রেপ্তার করার আইন নেই। তাকে যেভাবে পুলিশ মেরেছে তা নিন্দনীয়। আমি চ্যালেঞ্জ করছি পুলিশকে যদি গোল টুপি মাথায় থাকত তবে মারতে পারত?” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ” একজন শিখ বলে পাগড়ি খুলে দিয়েছে। যারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত তাদের লাথি খেয়ে শান্তিমিছিল করে। আমরা আইন মানি বলেই এসব হচ্ছে। এসব অগণতান্ত্রিক এবং তোষণের রাজনীতি।” সামনে বিধানসভা ভোট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পাগড়ি ও গোল টুপির প্রসঙ্গ তুলে আদতে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ। তবে শুধু দিলীপ ঘোষই নন। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে টুইট করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন হরভজন সিং। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ছিল বিজেপির। হাওড়া ময়দানের মিছিল থেকে বলবিন্দর সিং ধাওয়া করে ধরে পুলিশ । রাস্তায় পড়ে গেলে তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। হাওড়া সিটি পুলিশের দাবি, ওই আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির জেলাশাসক। ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার আইন নেই। তাই সেই হিসাবে বলবিন্দর বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্রটি বাংলায় নিয়ে এসেছিলেন বলেই দাবি পুলিশের।