বিজেপি সন্ত্রাসবাদীদের দল: ফিরহাদ। পাল্টা জবাব দিলীপের।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে সকাল থেকেই রীতিমত রণক্ষেত্র কলকাতা। একাধিক জায়গায় আটকে দেওয়া হয় যুব মোর্চার মিছিল। এমনকি বেশ কয়েক জায়গায় পুলিশ-যুব মোর্চা সমর্থকদের মধ্যে রীতিমত হাতাহাতি হতে দেখা গিয়েছে। আর এদিনের যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানকে তীব্র কটাক্ষ করলেন পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন ‘বিজেপি সন্ত্রাসবাদী” বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপিকে একহাত নিয়ে তার বক্তব্য, ”বিজেপি রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসবাদীদের দল। বাংলার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। এসব এখানে হবে না। অশান্তি আটকাতে যা যা করার, পুলিশকে বলেছি, সবরকম ব্যবস্থা নিতে। রাজনৈতিক দলের মিছিলে কখনও অস্ত্র থাকে না, স্লোগান থাকে, পোস্টার-ফেস্টুন থাকে।” যদিও পাল্টা ফিরহাদের কথার জবাব দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার বক্তব্য,” আসলে মন্ত্রীত্ব চলে যাবে বলে ভয় পেয়েছেন ফিরহাদ সাহেব। উনার কোন যোগ্যতা নেই। অপেক্ষা করুন গণতান্ত্রিক ভাবে এই বিজেপি আপনাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে।” বৃহস্পতিবার দুপুর। বেলা একটু গড়াতেই যুব মোর্চার মিছিল আটকাতে শহরের সব প্রান্তে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। এরই মাঝে হাওড়া ময়দান থেকে নবান্নমুখী বিজেপির মিছিল থেকে মিলল অস্ত্র। আর তারপরই আরও বাড়ল আশঙ্কা। এদিনই ঝাড়গ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ঢোকেন। নবান্ন অভিযানকারী বিজেপি সমর্থকদের যখন আটকাতে চাইছে পুলিশ, সেসময়ই নবান্নে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মিনিট পাঁচেক তিনি ছিলেন নবান্নের নিচেই। উপরে নিজের দপ্তরে যাননি। চারপাশ দেখে নিয়ে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়ে সেখান থেকে সোজা চলে যান ভবানীভবনে। রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। কীভাবে বিজেপির মিছিলে অস্ত্র এল, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন, এসব নিয়ে ডিজির কাছে তবে বেশিক্ষণ না। মাত্র মিনিট পাঁচেক থাকার পরই চলে যান ভবানীভবনে। এ কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে।