সারাদিন টালবাহানর পর বাড়ি ফিরলো মণীশ শুক্লর নিথর দেহ।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: সারাদিন টালবাহানর পর অবশেষে শেষ হল বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর দেহের ময়নাতদন্ত। তবে তা নিয়ে রীতিমত উত্তেজনা ছড়ায় এনআরএস চত্ত্বরে। সোমবার সন্ধ্যায় অন্ধকার ঘনাতেই এনআরএস হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানা যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মণীশ শুক্লার মাথায় ৩ টি গুলির ক্ষত মিলেছে। আর দেহে ১৪টি বুলেটের ক্ষত মিলেছে। ময়নাতদন্তে মণীশের দেহে ১৪টি গুলির ক্ষত মিলেছে। এর মধ্যে ৪টি গুলি দেহের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে। বাকি ১০টি গুলি দেহ এফোঁড় ওফোঁড় করে বেরিয়ে গিয়েছে। মাথা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩ টি গুলি। সম্ভবত ৭ এমএম পিস্তল থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলে মনে করছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক। এদিন এনআরএস হাসপাতালে উপস্থিত হন হুগলীর সাংসদ। লকেট চট্টোপাধ্যায়, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রমুখ। মণীশের দেহ পুলিশ লোপাট করে দিতে পারে এই আশঙ্কায় মর্গের সামনে ধরনা দেয় বিজেপি নেতারা। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ময়নাতদন্তের নামে আমাদের এখানে ৫ ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছে পুলিশ। পুলিশকে দিয়ে মণীশ শুক্লর দেহ লোপাট করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শবদেহবাহী গাড়ির সামনে পিছনে এসকট দিয়ে তা বারাকপুরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর তারা কী করবে তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমরা দেখতে চাই পুলিশ কী করতে পারে। আমরাও পালটা রণকৌশল নেব।” হাসপাতালের বাইরেও রয়েছে কয়েক হাজার বিজেপি সমর্থক। পুলিশ সূত্রের খবর, মণীশের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে সন্ধ্যার পরও জারি রয়েছে টানাপোড়েন। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রয়াত বিজেপি নেতার বাবাকে মর্গের ভিতরে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। বিজেপির অভিযোগ, দেহ লোপাট করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার পর দেহ নিয়ে রাজভবনের পথে রওনা দেয় বিজেপি। সিবিআই তদন্তের দাবীতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি প্রতিনিধিদল। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রয়াত বিজেপি নেতার বাড়িতে। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় টিটাগড় থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্ব খুন বন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল। পার্টি অফিসের সামনে বসে থাকার সময় অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা তাঁকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলিবৃষ্টি করে। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয় মণীশকে।