পুজোয় পঞ্চাশ হাজারের অনুদান আসলে ভোটের চমক বলে মত বিরোধীদের।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের প্রায় 34000 হাজার পুজো কমিটিকে 50000 হাজার টাকা করে ‘সল্পদান’ দেবার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যদিও এই অনুদানের কথা ঘোষণার সময় একাধিকবার রাজ্যের আর্থিক দুরাবস্থার কথা বলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর এই ঘোষণার পর থেকেই বিরোধীদের নিশানায় মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই অতিমারীর সময় অনুদান বাবদ প্রায় 184 কোটি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচকে ভোটের চমক বলেই মনে করছেন বিরোধী দলগুলি। আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যেও পুজো বাবদ অনুদান একলাফে দ্বিগুন করায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গোটা বিষয়টির পিছনেই বড়োসড়ো দুর্নীতি লুকিয়ে আছে বলে মনে করছেন তিনি। তার বক্তব্য, ‘এই টাকা করা পাবে তা অজানা।সবুজসাথীর মতো এটা নিয়েও এক বড়োসড়ো দুর্নীতি হতে চলেছে। তৃণমূলের পেটোয়া ক্লাবগুলি টাকা পাবে। এই অনুদান আসলে ভোটের আগে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ক্যাডার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড তৈরি হলো। আসলে রাজ্যের উন্নয়নের টাকা দিয়ে খয়রাতি করছেন উনি।’ অপরদিকে এই অনুদান বিজেপির সঙ্গে হিন্দুত্ত্ব প্রমানের প্রতিযোগিতা বলে মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কে বেশি হিন্দু তা প্রমান করতে চাইছেন উনি। সরকারি টাকায় হিন্দু ভোট কিনতে চাইছেন উনি। গদি হারানোর ভয়ে এখন জনগণের টাকা নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী । মানুষ সব বুঝতে পারছ।’ একইভাবে পুজো কমিটিগুলোকে 50000 হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর মতে, ‘এই টাকা পুজো বা উৎসবের জন্য দেয়া হয়নি। ভোটের আগে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে সততার প্রতীক লিখে প্রচার করার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে দাদন দেয়া হয়েছে। বড় পুজোগুলিকে এই অনুদান দেয়া মানে তেলা মাথায় তেল দেয়া।’ তবে শুধুমাত্র আর্থিক অনুদান নয় পাশাপাশি পুজোর অনুমতি এবং দমকলের ক্ষেত্রেও ছাড় দিয়েছেন তিনি। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও মিলবে 50 শতাংশ ছাড়। আর এই সবের পিছনে আসলে ভোটব্যাংকের রাজনীতি বলেই মোট বিরোধীদের।