“৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে,” দলীয় নেতৃত্বকে লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিলেন নাড্ডা।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : বঙ্গ বিজেপিকে রীতিমত হোম ওয়ার্ক দিয়ে গেলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা। পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার, কলকাতায় বিজেপির নবগঠিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে নাড্ডার বার্তা, “বুথস্তর পর্যন্ত নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছতে হবে। তাঁদের সবাইকে আমাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। আগামী বিধানসভায় অন্তত ৫০ শতাংশ ভোট পেতেই হবে।’ নবগঠিত রাজ্য কমিটির কার্যকর্তাদের প্রথম বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে চড়া সুরে আক্রমণ করে তৃণমূল সরকার উৎখাত করার ডাক দেন নাড্ডা। বলেন, ‘আগামী বিধানসভায় তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হবে। সারা রাজ্যে পদ্ম ফোটাবে বিজেপি।‘ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ- মুকুল রায়েদের পাশে নিয়ে বিশ্বভারতী থেকে আম্ফান। একের পর এক ইস্যুতে মমতা বন্দোপাধ্যায় ও শাসকদলকে চাচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন। রাজ্য নেতৃত্বের কাছ রিপোর্ট পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেশন চুরির অভিযোগও তোলেন নাড্ডা। বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারা রেশন চুরি করছিলেন। ত্রাণের টাকা, গরীব মানুষের বাড়ির টাকা থেকে পর্যন্ত কাটমানি খেতে ছাড়েনি। ’ এরই মধ্যে শান্তিনিকেতনের ঘটনায় রীতিমত তোলপাড় রাজ্য। পৌষ মেলার মাঠে পাচিল দেওয়া থেকে রবীন্দ্রনাথকে “বহিরাগত” তকমা দেওয়া, একেরপর এক ইস্যুতে একদিকে যেমন তৃণমূলের নিশানায় আরএসএস ঘনিষ্ঠ উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী। অপরদিকে বিজেপির কাঠগড়ায় দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি। এদিনের রাজ্য কমিটির নবনিযুক্ত কার্যকর্তাদের বৈঠকে উঠে এল বিশ্বভারতী প্রসঙ ওঠে এল। এদিন বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গে তৃণমূলকে একহাত নেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি। বলেন, “বিশ্বভারতীর অবস্থা দেখে রবীন্দ্রনাথের আত্মা চমকে উঠবে। তৃণমূলের গুণ্ডাদের সেখানে রাজত্ব চলছে। তৃণমূলের মাফিয়ারা মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।” পাশাপাশি ঠিক বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ” জাতপাতের রাজনীতি” করার অভিযোগ তোলেন নাড্ডা। বলেন, ” জাতপাতের রাজনীতি করছেন মমতা। রাম মন্দিরে ভুমিপুজোর দিন পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ছিল। এটা হিন্দু বিরোধী মনভাব। উনি ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন।” কটাক্ষ করেন গনতন্ত্র নিয়েও। বলেন, ” মমতা দিদি গনতন্ত্রের কথা বলেন। প্রতিদিন বিজেপি নেতা- কর্মীরা খুন হচ্ছে। তখন গণতন্ত্র নিয়ে কেউ মুখ খুলছে না।” এছাড়াও এই ভার্চুয়াল মিটিংএ আয়ুস্মান ভারত নিয়েও প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন জে পি নাড্ডা। মমতার জন্য এরাজ্যের মানুষ আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও দাবি করেন নাড্ডা। বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘মমতার জন্য বাংলার ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের বোঝাতে হবে মমতার জন্য তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ফসল বিমার সুবিধা থেকেও রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত।’