বাংলার চাণক্য মুকুল রায় : কৈলাস বিজয়বর্গী।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ- মুকুল “দ্বৈরথ” এখন কারো অজানা নয়। এমনকি দিল্লিতে বাংলার সাংসদদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে সৌমিত্র খা, অর্জুন সিংরা যেভাবে খোলাখুলি দিলীপ বিরোধিতা করে, তার পিছনেও মুকুল রায়ের ” হাতযশ” আছে তা এখন বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। আসলে বাংলা থেকে ১৮ জন সাংসদ পাঠানোর পিছনে বেশিরভাগই মুকুল রায়ের কৃতিত্ব বলে মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও তা মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠী। এমনকি পরিস্থিতি এমনই, সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নাম না করে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন-“তিনি একাই রাজ্যে পরিবর্তন আনার জন্য যথেষ্ট। বরং বাকিরা ঘুমিয়ে থাকতে পারে। ক্ষমতায় আসার পর তারা মিষ্টি খেয়ে যাবে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, সেদিন নাম না করে এককথায় মুকুল রায়কেই টার্গেট করেন দিলীপ ঘোষ। তবে শুক্রবার সেই দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহাদের পাশে বসিয়ে কার্যত মুকুল রায়কেই “স্বীকৃতি” দিলেন বাংলার পর্যবক্ষেক কৈলাস বিজয়বর্গী। এদিন গোটা রাজ্যজুড়ে “গণতন্ত্র বাচাও” কর্মসূচির ডাক দেয় রাজ্য বিজেপি।সেই কর্মসূচিতে এক মঞ্চে দিলীপ-মুকুল-রাহুল দেখা গিয়েছে। আর এখানেই কার্যত দিলীপ ঘোষকে পাশে বসিয়ে মুকুলের “ওজন”বুঝিয়ে দিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় । এদিন তিনি তার বক্তব্যের শুরুতেই মুকুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ” বাংলার চাণক্য। যিনি মমতা দিদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছেন। আর যিনি মমতা দিদিকে চেয়ার থেকে নামিয়ে মাটিতে বসাবেন।” শুধু তাই নয় এই মঞ্চে রাহুল সিনহারা মাটিতে বসলেও, মুকুল রায বসেছিলেন চেয়ারে, যদিও তিনি পরে সবার সঙ্গে মাটিতেই বসেন। উল্লেখ্য, এর আগে শহিদ মিনারের ভরা সভায় সব নেতাদের সামনেই অমিত শাহ মুকুল রায়কে পশ্চিমবঙ্গে 18 আসন জেতার কারিগর বলে ‘সার্টিফিকেট’ দিয়েছিলেন। তবে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এই মন্তব্য ঘিরে রীতিমত বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আজ কৈলাসের বক্তব্য সবটাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সংকেত নিয়েই বলা। অর্থাৎ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে মুকুল রায়ের “গেম প্ল্যান” মেনেই দিলীপ ঘোষেদের চলতে হবে এদিন তা পরিস্কার করে দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।