নিউস বেঙ্গল 365, কলকাতা: একবছরের বেশি সময় ধরে বিজেপিতে থেকেও যেন তিনি নেই, সেটা রাজনৈতিক মঞ্চই হোক বা বিজেপির অভ্যন্তরে কোন বৈঠক কোনো কিছুতেই শোভন চট্টোপাধ্যায় নেই । দলে উপেক্ষিত নাকি ব্রাত্য অথবা স্বেচ্ছা নির্বাসন, কিছুই খোলসা করেননি জনসমক্ষে। পদ্মা না ঘাস ? কোন ফুলে সন্তষ্ট শোভন ? গতকাল একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎ করে অতি সাবধানী শোভন সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়ে জানালেন, এত তাড়াহুড়ো কেন। অপেক্ষা করুন সময় এলে মানুষকে দিয়েই উত্তর দেব । সব প্রশ্নের জবাব সবাই পাবে রাজনৈতিকভাবে এবং পারিবারিকভাবে। বিজেপির কর্মসূচি্তে হাজির হওয়ার অবকাশ হয়নি। তবে প্রকাশ্য কর্মসূচিতে ছিলাম না বলে যে রাজনৈতিক পর্যালোচনা করিনি এমন নয়।সম্প্রতি ওয়ার্ডে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে তৃণমূল শোভনের ফেরার রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে, এই খবর প্রকাশ্যে আস্তে সেই রাতেই শোভনের বাড়িতে ছুটে যান বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন। এই ব্যাপারে শোভন বলেন, অরবিন্দ মেনন রাজ্যে এলেই আমার বাড়িতে আসেন। আগেও বহুবার এসেছেন। সেদিনও আসেন। মাঝে মাঝেই খোঁজখবর নেন । এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।মেননের সঙ্গে তার বৈঠকের পর ঠিক হয়েছে, তিনি নাকি বড় কোনও পদ তিনি পেতে চলেছেন বিজেপিতে? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন মেয়র জানান, এত দিনের রাজনৈতিক জীবনে দায়িত্ব বা পদ নিয়ে কখনই মাথা ঘামাননি, আজও ঘামাচ্ছেন না। তৃণমূল কংগ্রেস প্রসঙ্গে তাঁর সোজাসাফটা উত্তর , পদত্যাগ করার পর তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথা নেই। আর রত্নার মতামতের কোনও গুরুত্ব আমার কাছে নেই। আমার কী অবস্থান সেটা সময় এলেই পরিষ্কার হবে। এখন করোনা সিচুয়েশন। করোনা পরিস্থিতির জন্য মানুষ এখন মুখোশ পরে আছে, এই পরিস্থিতি চলে যাক সব মুখোশ টেনে এনে সব কিছু বুঝিয়ে দেব। ভাইফোঁটা বা চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়া প্রসঙ্গে শোভন বলেন, চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলাম সৌজন্য মেনে। ভাইফোঁটার দিন দিদি বৈশাখীকে ফোন করে যেতে বলেছিলেন তাই গিয়েছিলাম ।সেখানে কোনও রাজনৈতিক মত বিনিময় হয়নি। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছিল। কিন্তু বৈশাখীকে যেভাবে সরানো হল, তার মর্যাদার হানি করা হল। তা একেবারেই অভিপ্রেত নয়। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্বঘোষিত মুখপাত্র প্রসঙ্গে শোভন বলেন, অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে নবান্নে গেলে বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ডাকে নাকতলায় গেলে এ কথা ওঠে না। আর অরবিন্দ মেনন দেখা করতে আসার পর বৈশাখী সাংবাদিকদের কিছু বললেই যদি শোভনের মুখপাত্র বলা হয়, তাহলে তাকে দ্বিচারিতা ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে!প্রাক্তন মেয়র আরো বলেন , এখন রাজ্যে ৪০ শতাংশ ভোট বিজেপির, এটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। রাজ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে যে রাজনীতি হচ্ছে, তা বাংলার রাজনীতিতে সমীচিন নয়। করোনা থেকে ঘূর্ণিঝড়। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে মানুষ। সবই বিবেচানাধীন। সঠিক সময় এলেই মানুষ উত্তর দেবে।পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন? এ প্রসঙ্গে শোভন জানান, শেষ বিচার মানুষ করবে।
With Product You Purchase
Subscribe to our mailing list to get the new updates!
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur.
Related Articles
Check Also
Close
-
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে দিল্লি যাচ্ছেন মুকুল দিলীপ।
January 15, 2021