নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : ঐতিহ্য বজায় রেখে এবারও দশমীতে পোড়ানো হবে বিশালাকায় কুশপুতল। দশেরা উপলক্ষে সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি এবং সনমার্গের উদ্যোগে সেন্ট্রাল পার্কে রাবণের ৫০ ফুট লম্বা পুত্তলিকা এবং মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণের ৪০ ফুট লম্বা কুশপুতুল পোড়ানো হবে। বিজয়া দশমীর শুভপর্বে এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এবং বাংলার সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে রূপ দেওয়া। প্রত্যাশা রয়েছে রাক্ষসরাজা রাবণের কুশপুত্তলিকা দাহের এই মহাঅনুষ্ঠান দেখতে কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের অজস্র মানুষ ভিড় জমাবেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী বহু মানুষের জন্য দশেরাহ উৎসব বাড়িতে অথবা মন্দিরে গিয়ে দেবতার কাছে প্রার্থনা জানানো এবং খাদ্যদ্রব্য, ফলমূল ও ভোগ নিবেদন করা। রাবণের কুশপুতুল নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় বের করা হয় জুলুস, তারপর সন্ধেবেলায় তা পোড়ানো হয়, বহু জায়গায় আয়োজন করা হয়ে মেলা। বিসর্জন দেওয়া হয় দেবী দুর্গার মূর্তি।
দশেরার দিন হতে চলা অনুষ্ঠান সম্পর্কে সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি শ্রী প্রতাপ টোডি জানিয়েছেন, “সৌরভ গঙ্গ্যোপাধ্যায়কে এবার আমরা মুখ্য অতিথি হিসেবে পাচ্ছি, এটা সত্যিই বিশেষ ব্যাপার। অশুভের উপর শুভের জয়ের এই উৎসব উদযাপন উপলক্ষে সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে আমরা বিশেষ আয়োজন করেছি, পোড়ানো হবে ৫০ ফুট লম্বা রাবণের কুশপুতুল। আমরা আলাদা আলাদা ফায়ার শো-এর আয়োজনও করেছি।”

সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদের মার্গদর্শক স্রী ললিত বেরিওয়ালা বলেছেন, “দশেরা পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় উৎসব, এবার আমরা দশবছর উদযাপন করব। বিজয়া দশমী দুর্গাপুজোর সমাপ্তির পরিচায়ক। অশুভের উপর শুভের জয় হিসেবে সারা দেশে রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। ফাংশনে পারফর্ম করার জন্য আমরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে শিল্পী নিয়ে এসেছি। এছাড়াও, কুশপুতুল পোড়ানোর আগে একাধিক অনুষ্ঠানও হবে। আশা করা হচ্ছে ২৫ হাজারেরও বেশি লোকজন ভিড় জমাতে পারেন।”
সল্টলেক সাংস্কৃতিক সংসদ সমাজের বঞ্চিত শ্রেণির লোকজনের জীবনের মানোন্নয়নে নিয়োজিত একটি সংস্থা। স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয়, রক্তদান শিবির, বই বিতরণ কার্যক্রম, ম্যারেজ হল ইত্যাদির মতো জায়গায় বিভিন্ন কাজকর্মের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সংযুক্ত পরিষেবার মতো অনেক সুযোগ-সুবিধা আমরা তাদের দিয়ে থাকি।