সুবল সরদার: আজ একথা গভীর দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের লজ্জা। তিনি মিথ্যা কথা বলার যাদুকরী। জনগণ তাঁর কথায় বিশ্বাস করে সিপিএমের হাত থেকে বাঁচতে তাঁকে বিশ্বাস করেছিলেন। আজ তাদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তারা আজ সিপিএমের মতো বিশ্বাসঘাতীনির হাত থেকে বাঁচতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি কুকথা, কুশাসন, কুনাট্যের জননী। পাড় খোঁড়ার অভিনয় করে, কখনও বা মঞ্জে মঞ্জে বল নিয়ে ‘খেলা হবে’ বলে স্লোগান দিয়ে জনগণকে ভুল পথে চালিত করছেন। উন্নয়ন নয় শুধু ব্যক্তি আক্রমনে তিনি সদা ব্যস্ত। জঙ্গিদের মতো তাঁর ভাষা সন্ত্রাসে আমাদের রাজ্য জর্জরিত। তিনি শোষণ, অত্যাচার, অপশাসনের একচ্ছত্র নেত্রী। একদিকে চাকরি বিক্রির কোটি কোটি টাকার পাহাড় দেখছি, অন্যদিকে যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা মাসের পর মাস চাকরির জন্যে ধর্না দিচ্ছেন। সরকারের কোনও হেলদোল নেই। একদিকে দুর্গা পুজোর শোভাযাত্রার উন্মাদনা, অন্যদিকে মাল নদীর হড়পা বানে দর্শনার্থীদের অকাল মৃত্যুতেও আনন্দের বিচ্ছেদ ঘটছে না। তিনি রাজা নিরোর মতো সমুদ্র বক্ষে বেহাল বাজাচ্ছেন যখন রোম নগরী পুড়ে ছারখার হচ্ছে। হয়তো তিনি ক্ষান্ত হতেন, শারদীয়া উৎসব যদি পুজো হতো। এখন পুজো নয়, শুধু কার্নিভাল। কার্নিভাল কি? রোমান ক্যাথলিকদের পর্ব বিশেষ, আনন্দে মত্ততা সহকারে এই পর্ব পালিত। আমাদের উৎসব আর আমাদের নয়। পশ্চিমীদের মত্ততা এখন আমাদের হয়ে গেছে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। তাই এতো আনন্দের লহর।
তিনি সুনামির মতো আমদের বিশ্বাস, ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ববোধ সমস্ত সামাজিক সর্ম্পক ভেঙে চুরমার দিয়েছেন। একদিকে যেমন তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, অন্যদিকে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষা, চাকরি, শিল্প নেই। চারদিকে শুধু টাকা চুরি, টাকা লুটপাটের গল্প। শিক্ষিত বেকারের যুবক যুবতীদের আরও বিপদগামী করতে পুজোতে ঝাল-মুড়ি-ঘুগনি-চা-বিস্কুট-বিক্রি উপদেশ দিচ্ছেন। এই বিক্রি করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন যা সার নেট দুনিয়ায় শোরগোল পড়েছে, হাসির কারণ হয়ে উঠেছে।
প্রতিবাদের প্রতিবাদী ভাষা বুদ্ধিজীবীরা হারিয়ে ফেলেছেন। তাই জনগণ এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুনীতির লড়াই করছেন। নেতাদের পলিট্রিক্স এর বিরুদ্ধে জনগণের এথিক্স এর লড়াই হচ্ছে। জনগণের নৈতিক জয় হবে। জনগণ তাদের শ্রীঘ্রই অধিকার ফিরে পাবেন, এমন আশা করা যায়।