ফেসবুক পোস্টে মমতা সরকারের ‘সমালোচনা’ করা দিল্লি বাসিন্দাকে তলব করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কার কলকাতা পুলিশকে।
নিউস বেঙ্গল 365, নিউসডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লকডাউনের সময় রাজাবাজারের ভিড়ের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন রোশনি বিশ্বাস নামে দিল্লির এক বাসিন্দা। এরপরই রোশনি বিশ্বাসকে কলকাতা পুলিশের সামনে হাজির হওয়ার জন্য সমন পাঠায় কলকাতা পুলিশ। 29 বছর বয়সী দিল্লির ওই মহিলার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া, মানহানি, সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির অভিযোগ আনে কলকাতা পুলিশ। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। রোশনি বিশ্বাস 5 জুন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সমনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পান। যেখানে বলা হয় লকডাউন উঠলে 29 সেপ্টেম্বর পুলিশের সামনে হাজিরা দেবেন। এরপর হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান রোশনি। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ, রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বলে, সরকারের সমালোচনা করায় সাধারণ মানুষকে কখনই হয়রানির মধ্যে ফেলা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেন, যদি কোনও বিদেশি ব্যক্তি এই দেশের সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লেখেন, তাহলে সেই ব্যক্তিকে কি কলকাতা, চণ্ডীগড় কিংবা মনিপুরে, হাজির হতে বলতে পারবে সরকার? বলতে পারবে, এবার তাকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। এটি একটি বিপজ্জনক প্রবণতা বলে মন্তব্য করে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নাগরিকের বাক স্বাধীনতা রক্ষা করতে প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চ পরামর্শ দেয় যে, পুলিশ প্রশ্নগুলি ইমেলের মাধ্যমে অথবা ভিডিও কাফেরেন্সের মাধ্যমে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। শুনানি শেষে রোশনি বিশ্বাসের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মহেশ জেঠমালানি ও আইনজীবী অরুনিমা দ্বিবেদী জানান, তাঁরা আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, কলকাতা পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের সামনে ডেকে রোশনি বিশ্বাসকে ভয় দেখানো।