“লাভ জিহাদ”এ না,হরিয়ানায় প্রকাশ্যে তরুণীকে গুলি করে খুন তরুণের।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: ভরদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় এক তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা। আর তাতে বাধা দেওয়ায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি। ঘটনাটা সিনেমার মত মনে হলেও, ফরিদাবাদের বল্লভগড়ে আগরওয়াল কলেজের সামনে সোমবার ভরদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় এমন ভয়াবহ ঘটনায় শিউরে উঠেছেন অনেকেই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি ওই তরুণী নিকিতা তোমরকে। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে মূল অভিযুক্ত তৌসিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তরুণীর পরিবারের দাবি, তৌসিফের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় গুলি করে খুন করেছে অভিযুক্ত যুবক। ঘটনার প্রতিবাদে ফরিদাবাদ মথুরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রবল চাপে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানা সরকার। মঙ্গলবার এই ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে নিকিতা অন্য এক তরুণীর সঙ্গে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকাই একটি সাদা এসইউভি তাদের সামনে এসে দাড়ায। গাড়ি থেকে দুই যুবক নেমে আসে। তাদেরই একজন তৌসিফ জোর করে ওই তরুণীকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন। তাকে সাহায্য করছিল রেহান নামক এক যুবক। আর ওই তরুণী প্রাণপণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন । অনেকক্ষণ হাত ধরে টানাটানি, ধস্তাধস্তির মধ্যেই আচমকা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে দেয় ওই যুবক। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন নিকিতা। দৌড়ে গাড়িতে উঠে পালিয়ে যান দু’জন। পুলিশ সূত্রে খবর , কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথেই এই হামলা হয় । নিকিতাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তৌসিফকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। বল্লভগড়ের এসিপি জয়বীর সিংহ রাঠি জানিয়েছেন, “তৌসিফ নামে এক অভিযুক্তকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তৌসিফের বাড়ি মেওয়াট এলাকায়। অভিযুক্তদের এক জনের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ছিল তরুণীর।” মৃতার পরিবারের তরফেও স্বীকার করা হয়েছে সেই কথা। নিকিতার পারিবারিক সূত্রে খবর, ২০১৮ সালেও তাঁরা তৌসিফের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে পরে বিষয়টি মিটে যায় বলে মামলা আর এগোয়নি। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ওই অভিযোগ দায়ের হলেও তখন পরিবারের লোকজন কোনও ব্যবস্থা নিতে নিষেধ করেন। তবে নতুন করে অভিযোগ দায়ের হতেই তৌসিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিকিতার মায়ের বক্তব্য, “তৌসিফকে এনকাউন্টার না করা পর্যন্ত মেয়ের মৃতদেহ দাহ করবো না।” ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।