ত্বহা সিদ্দিকীকে ফোন করে দিল্লিতে আমন্ত্রণ কৈলাস বিজীয়বর্গীয়র!
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক: আগামী বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপি বিভিন্ন রণকৌশল করছে। গতকালই মুকুল রায়কে সর্ব ভারতীয় সভাপতি করে এই মুহুর্ত্বে ভোট ময়দানে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বিজেপি বলে তথ্যবিজ্ঞমহলের ধারণা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বাংলার চানক্য বলে পরিচিত মুকুল রায় অনেক হিসাব উল্টে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। গতকাল তাঁর নাম সহ সভাপতি হিসাবে ঘোষণা হবার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচরাপাড়ায় নিজের বাড়িতে বসে ঘোষণা করেন, ‘২০২১-এ মমতার সরকারকে উৎখাত করাই বিজেপির লক্ষ্য।’ সেই লক্ষ্যেই তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে অনেক ভেবেচিন্তে হিসাব কোষে এগোচ্ছে বিজেপি। তাই এবার সরাসরি মুকুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ফুরফুরা শরীফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীকে ফোন মুকুল রায়ের আরেক ঘনিষ্ঠ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গিওর। বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, কৈলাস বিজীয়বর্গীয় তাঁকে ফোন করে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।2011 সালে বিধানসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ সংখালঘু ভোট সিপিএম এর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তৃণমূলকে দুহাত ভোরে দিয়েছিলো।শোনা যায়, সংখ্যালঘুদের ভোট তৃণমূলের দিকে যাওয়ার কৃতিত্ব প্রায় পুরোটাই ত্বহা সিদ্দিকীর এবং তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার মূল কারিগর ছিলেন টিএমসির তৎকালীন সেকেন্ড ইন চিফ মুকুল রায়।রাজনৈতিক মহলের ধারণা ত্বহা সিদ্দিকীকে ফোন মুকুল রায়ের কথা মতোই করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে 28 পার্সেন্ট সংখ্যালঘু ভোট, যা 295 টি বিধানসভা আসনের মধ্যে প্রায় 24 পার্সেন্ট আসনের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। তাই সংখ্যালঘু ভোট পেতে ত্বহা সিদ্দিকির দ্বারস্থ বিজেপি। সূত্রে খবর, কৈলাস বিজীয়বর্গীয় ফুরফুরা শরীফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীকে ফোন করে তাঁর সহযোগিতা প্রার্থনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিল্লি যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।