গুজরাটে সরকারি হাসপাতালের কর্মীদের বেধড়ক মারে মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির।

নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ নিউজ: খোদ মোদীর রাজ্যে চূড়ান্ত অমানবিকতার ছবি। খোদ সরকারি হাসপাতালের কর্মীদের বেধড়ক মারে মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির। ঘটনাটি গুজরাটের রাজকোট সিভিল হাসপাতালের। স্থানীয় সূত্রে খবর, চলতি মাসের শুরুতে কিডনিতে জল জমার কারণে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি হয়েছিলেন ৩৮ বছরের প্রভাকর পাটিল। ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা অপারেশন করে কিডনি থেকে জল বের করতে সমর্থ হলেও শুরু হয় শ্বাসকষ্ট । পরে নমুনা পরীক্ষার পর জানা যায় প্রভাকর করোনা পজিটিভ । গত ৮ তারিখ করোনা চিকিৎসার জন্য তিনি ভর্তি হন রাজকোট সিভিল হাসপাতালে। সেখানেই ১২ তারিখ মৃত্যু হয় প্রভাকরের। আর তারপরেই প্রকাশ্যে আসে তাঁকে মারধরের ভিডিও। অভিযোগ, করোনার কারণে না, মারধোর করে মারা হয়েছে ওই যুবককে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পিপিই কিট পরে থাকা হাসপাতালের একজন নার্সিং স্টাফ হাতে লাঠি নিয়ে প্রভাকরকে মাটিতে ফেলে তাঁর বুকের উপরে হাঁটু চেপে ধরে রয়েছে। আর পাশে থাকা অন্য নার্সিং স্টাফ ও হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করছে। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরেই মৃতের ভাই বিলাস পাটিল অভিযোগ করেন, তাঁর দাদাকে পিটিয়ে মেরেছে হাসপাতালের কর্মীরা। শুধু তাই নয়, প্রভাকর করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুর পর সরকারি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তাঁর মৃতদেহ বিলাসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কোনওরকম প্রোটোকল না মেনেই শেষকৃত্যের কাজ সম্পন্ন করা হয়। সরকার যেন ওই অন্যায়ের সঠিক বিচার করে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ১৭ তারিখ তাদের তরফে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিষেধ সত্ত্বেও হাসপাতালে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। অন্য রোগীদের মধ্যে যাতে করোনার সংক্রমণ না ছড়ায় তাই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কোনওরকম মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।