দেশ
সেনা অস্ত্রভাণ্ডারের আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যে বরাদ্দ হল ৯০ হাজার ৪৮ কোটি টাকা।

নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : সেনার অস্ত্রভাণ্ডারের আধুনিকীকরণের উদ্দেশে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বরাদ্দ হল ৯০ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। যা গতবছরের তুলনায় এটি ৯ হাজার কোটি বেশি। একদিকে লাদাখে যখন চিনের সঙ্গে চরম উত্তেজনার আবহওয়া তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে পশ্চিমে পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের সংখ্যা বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙেছে ৯ মাসের মধ্যেই। তবে এরই মধ্যে করোনা আবহে দেশজুড়ে চলছে অর্থনৈতিক মন্দার সময়। করোনা প্রকোপ চলাকালীনই শুরু হয়েছিল লাদাখে ভারত-চিন সংঘাত। ১৫ জুন গালওয়ানের সংঘর্ষ বদলে দেয় পরিস্থিতি। উত্তেজনার পারদ আরও চড়তে থাকে সীমান্তে। এই আবহেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা ও অর্থ বরাদ্দের জন্য অনুমতি দিয়েছিল ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল। এর জন্য ৩৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা খরচের কথাও বলা হয়েছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দেশে তৈরি অস্ত্রের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে মাঝারি ছোটো ও ক্ষুদ্র শিল্প গুলিকে যুক্ত করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এর জন্য কিছু প্রকল্পে দেশীয় পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ খরচ কমবে। দেশের শিল্প ক্ষেত্রে ডিআরডিও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করায় উন্নত মানের অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। পিনাকা অ্যামিউনিশন, বিএমপি আর্মামেন্টের মানোন্নয়ন এবং সেনার রেডিয়ো, স্থলভাগে অনেক দূর পর্যন্ত লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এরকম ক্রুজ মিসাইল প্রায় ৮০ শতাংশ কম খরচে দেশে তৈরি হবে। অস্ত্র তৈরির ডিজাইন এবং তার মানোন্নয়নের জন্য ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া বায়ুসেনার তরফে আরও উন্নত মানের যুদ্ধবিমানের দাবি মেনে লাদাখ সীমান্তে চলমান ভারত-চিন সামরিক উত্তেজনা ও সংঘাতের মধ্যেই রাশিয়া থেকে আরও ৩৩টি যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় রাশিয়া থেকে ২১টি মিগ ২৯ ও সুখোই যুদ্ধবিমান কেনা হবে। এর জন্য খরচ হবে ৭ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা ।