১০০ দিনের কাজের মূল “কারিগর” ডঃ রঘুবংশ প্রসাদ সিংহ আর নেই।
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক : চলে গেলেন আর জে ডি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রঘুবংশ প্রসাদ যাদব। আজ দুপুর ১২ টা নাগাদ দিল্লীর এইমসএ শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দুদিন আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আর জে ডি থেকে ইস্তফা দেন প্রবীন এই নেতা। আর জে ডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের কার্যত ছায়া সঙ্গী ছিলেন। বর্তমান ১০০ দিনের কাজের মূল কারিগর ছিলেন তিনি। গত নির্বাচনে বিহারের বৈশালী থেকে পরাজিত হন তিনি। ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকারের সময় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকটি পড়েছে লালু প্রসাদ যাদবের “রাষ্ট্রীয় জনতা দল”-এর ভাগ্যে। ওই দলের এক ভূমিহার নেতা, যাঁকে দেখলে গ্রাম্য বিহারের গোপালনকারীর চেয়ে বেশি কিছু লাগতো না, সেই তিনিই বদলে দিলেন গ্রাম্য ভারতের মানচিত্র। মুখে ভোজপুরী বুলি, চেহারায় অবিন্যস্ততা , কিন্তু কাজের টেবিলে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে বিহারের জাতপাতের রাজনীতিতে তিনিও পদ্ম ফুল। গণিতশাস্ত্রের অধ্যাপক, গণিতশাস্ত্রে ডক্টরেট এই মানুষটির হাতে ধরেই বদলে যায় গ্রাম বাংলার চিত্র। ২০০৪-২০০৯ “মহাত্মা গান্ধী রাষ্ট্রীয় গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি অধিনিয়ম” (MNREGA) বা “১০০ দিনের কাজ” খাতায় কলমে করে দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ডঃ রঘুবংশ প্রসাদ সিংহ। বদলে দিয়েছিলেন গ্রামীণ ভারতের রোজগারের চিত্রটি। এমনকী ডঃ মনমোহন সিংহ তাঁকে “স্যার” হিসাবে সম্বোধন করতেন। গ্রামীণ ভারতের দারিদ্র্য নিরসনে তাঁর অশেষ প্রচেষ্টার স্বীকৃতিই দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি, “২০০৪-২০১৪ UPA সরকারের সময়ে ভারতের গ্রামীণ দারিদ্র্য ব্যাপক হারে কমেছে ” এবং এই সাফল্যের পেছনে ডঃ মনমোহন সিংহ ছাড়াও কৃতিত্ব ছিল এই “বিহারী মাস্টারমশাই”এর। তার মৃত্যুতে দু:খপ্রকাশ করেন লালুপ্রসাদ যাদব থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।