স্মার্টফোনের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হতে বসা কচিকাঁচার দায়িত্ব নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর এক পুলিশকর্মী
নিউজ বেঙ্গল ৩৬৫ ডেস্ক:-স্মার্টফোনের অভাবে পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হতে বসা একদল কচিকাঁচার দায়িত্ব নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর এক পুলিশকর্মী। পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানদের নিজেই ক্লাস নেন সাব ইন্সপেক্টর সন্থাপ্পা জাদেম্মানাভর। ডিউটির সময় ছাড়া বাকি সময়টা পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানদের জন্যই রেখেছেন তিনি। প্রতিদিন ডিউটিতে যাওয়ার আগে কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু শহরেই ফুটপাথের উপরে চলে পুলিশ মাস্টারমশাইয়ের ক্লাস। ইন্সপেক্টর সন্থাপ্পা জাদেম্মানাভর বলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানদেরও পড়াশোনা করার অধিকার রয়েছে। স্কুলে জেতে না পারা বা অনলাইন ক্লাস করতে না পারাটা কখনই ওদের অপরাধ নয়। আমি একেবারেই চাইনা যে ওরা ওদের বাবা-মায়ের সঙ্গে এত ছোট বয়সেই কাজকর্মে যোগ দিয়ে দিক। ওদের পড়াশোনা করিয়ে শিক্ষিত করাই এখন আমার মূল লক্ষ্য।পুলিশ স্যারের টানে হাজির হয় ছেলেমেয়ে মিলিয়ে প্রায় ২৫ জন ছাত্রছাত্রী। একদম নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়ে যান মাস্টারমশাই ও। ফুটপাথের উপরেই ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বসে পড়েন তিনি। তিনটি সারিতে ভাগ করে বসিয়ে দেন পড়ুয়াদের। সামনে ঝোলানো হয় সাদা বোর্ড। সেখানে এঁকে-লিখে ছাত্রছাত্রীদের পড়া বুঝিয়ে দেন সন্থাপা। ডিউটি যাওয়ার আগে পর্যন্ত চলে ক্লাস। সাব ইন্সপেক্টর সন্থাপার কথায়, এমনিতে লকডাউনের জেরে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা আরও করুণ। স্কুলও বন্ধ চলছে অনলাইন ক্লাস। এই অবস্থায় কাউকে তো উদ্যোগ নিতেই হবে। না হলে স্কুল পালানোর সংখ্যা আগামী দিনে হয়তো আরও বেড়ে যাবে। তাই খুব অল্প কয়েকজনের জন্য হলেও এই বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব আমি নিয়েছি।